এইচ এম মইনুল ইসলাম, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট)
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের সরকারি খাদ্যগুদামের ভবন দুটি কয়েক বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বৃষ্টির সময় ছাদ থেকে পানি পড়ে। দেয়ালের পলেস্তারাও খসে পড়ছে। এ অবস্থার মধ্যেই ভবন দুটিতে মজুত করা হচ্ছে উপজেলার জন্য সরকারি বরাদ্দের শত শত মেট্রিক টন ধান ও চাল। বর্ষা মৌসুমে ভবনের মধ্যে থাকা ধান-চাল পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হয়।
নৌপথে কার্গো জাহাজ থেকে চাল ওঠানো বা নামানোর জন্য খাদ্যগুদামের সামনের একমাত্র খালটি পলি পড়ে ভরে গেছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে নিরাপত্তা দেয়ালও ভেঙে পড়েছে।
জানা গেছে, এ উপজেলার জন্য সরকারি বরাদ্দের চাল মজুত ও ধান ক্রয়ের জন্য ১৯৮০ সালে বিষখালী খালের পাড়ে সানকিভাঙ্গা এলাকায় এক হাজার মেট্রিকটন ধারণ ক্ষমতার দুটি ভবন নির্মাণ করা হয়। ৪০ বছর ধরে ওই ভবন দুটিতে প্রতি বছর প্রায় সাত হাজার মেট্রিক টন ধান ও চাল মজুত রাখা হয়। গুদামটিতে যাতায়াতের জন্য সরকারি কোনো রাস্তা নেই। ফলে বিভিন্ন ইউনিয়নে সরকারি বরাদ্দের চাল নিতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের অতিরিক্ত খরচ বহন করতে হয়। ভবনের সামনের খালটি পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাওয়ায় নৌপথে যাতায়াতের ব্যবস্থাও প্রায় বন্ধ।
খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, গুদামের সামনের খালটি পলি পড়ে ভরাট হয়ে গেছে। চাল নিয়ে জাহাজ ঘাটে পৌঁছাতে পারে না। অপরদিকে দীর্ঘদিন ধরে সড়কপথে শস্য সরবরাহের কোনো পথও নেই।
তিনি জানান, এখানে বছরে প্রায় সাত হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুত করা হয়। বর্ষা মৌসুমে ভবনের ভেতর পানি পড়ে। পলিথিন দিয়ে ধান-চাল ঢেকে রাখতে হয়। মূল ফটকে রাস্তা, বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ, মাল উত্তোলনের ঘাটের খাল খননের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সম্প্রতি খাদ্যগুদাম এলাকা পরিদর্শন করেছেন। চলতি বছরের মার্চ মাসের মধ্যে গুদামে ঢোকার মূল সড়কটি নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।