কুমিল্লা জেলার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম তীর্থ স্থান চণ্ডীমুড়া মন্দির। জেলার বরুড়া ও লালমাই উপজেলার মধ্যবর্তী সীমান্তে চণ্ডী মুড়া পাহাড়ের ১৫০ ফুট উঁচু ঢিবির ওপর ঐতিহাসিক এ মন্দিরটি নির্মিত হয়।
সপ্তম শতাব্দীতে নির্মিত এ মন্দিরে বর্তমানে পূজা অর্চনা করা হয়। পাশাপাশি ইতিহাস ও স্থাপত্য সৌন্দর্যের কারণে অনেক পর্যটক এখানে ভিড় জমান। এ মন্দিরের প্রবেশ পথে রয়েছে ১৮০টি সিঁড়ি। সিঁড়ির শেষ মাথায় মন্দিরের প্রধান প্রবেশপথ। ১৫০ ফুট উঁচু ঢিবির ওপর এটি অবস্থিত।
এ ছাড়া প্রতি শুক্রবার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এখানে আসেন। মন্দিরের বিপরীত পাশে একটি দুতিয়া দিঘি রয়েছে। শিব চর্তুর দর্শী উপলক্ষে প্রতি বছর গঙ্গা স্নান করা হয়। শিব চর্তুর দর্শী উৎসবকে কেন্দ্র করে হাজার সনাতন ধর্মের মানুষেরা ভিড় করেন।
হিন্দুধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস মতে, বরুড়া উপজেলার ঘোষণা গ্রামের বাসিন্দা শ্রী মত স্বামী আত্নানন্দ গিরি মহারাজ (সাবেক মনিন্দ্র দাস) স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে পুনরায় মন্দিরটি সংস্কার করেন।
জানা গেছে, সপ্তম শতাব্দীতে বৌদ্ধ রাজা দেব খড়গ স্ত্রী প্রতিভা দেবীর অনুরোধে তাঁর স্মৃতিকে অমর করে রাখতে শ্রীশ্রী চণ্ডী মন্দির ও পাশে শিব মন্দির নির্মাণ করেন। এর মধ্যে চণ্ডী মন্দিরে সরস্বতী ও শিব মন্দিরে শিবকে স্থাপন করে দুজনের আলাদা আলাদা পূজা অর্চনা করা হতো।
সম্প্রতি বিভিন্ন উৎসবে এ মন্দির প্রাঙ্গণে মেলার আয়োজন করা হয়। এ ছাড়াও মন্দিরের পাশেই রয়েছে বেশ কয়েকটি ভবন যেগুলো ধর্মীয় আচার ও আলোচনার কাজে ব্যবহার করা হয়। মন্দিরে ওঠার সিঁড়ির পাশে রয়েছে আরও একটি নট মন্দির। এ ছাড়া মন্দিরের গায়ে পাওয়া শিলালিপি রয়েছে। অনেকের বিশ্বাস, হিন্দু ধর্মের আবির্ভাবের পূর্বে মন্দিরটি এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। মন্দিরের বাইরের নকশা ও ডিজাইন পর্যটকদের আকৃষ্ট করে।