নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের ফুটপাত দখল করে বসছে নানা ধরনের ভ্রাম্যমাণ দোকান। এ দোকানিরা ফুটপাত ছাড়িয়ে এখন মূল সড়কে নেমে এসেছেন। এ ছাড়া রয়েছে রিকশা ও ইজিবাইকের অবৈধ স্ট্যান্ড।
এতে পথচারীদের পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ, সৃষ্টি হচ্ছে অসহনীয় যানজট। এ ছাড়া অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে রাজনৈতিক দলের কিছু নেতা-কর্মী ফুটপাতের এসব দোকান থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করেন।
সরেজমিন দেখা যায়, সৈয়দপুর শহরের ২ নম্বর রেলওয়ে ঘুমটিতে ডাকঘরের সামনে সড়ক দখল করে ফুচকা, জুতা ও ফাস্ট ফুডের দোকান। তাই সেখানে সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। ১ নম্বর রেলওয়ে ঘুমটি বঙ্গবন্ধু চত্বর (পাঁচমাথা মোড়) থেকে বিমানবন্দর সড়ক, তাজির হোটেল থেকে বাস টার্মিনাল পর্যন্ত, তামান্না সিনেমা হল থেকে ২ নম্বর রেলওয়ে ঘুমটি পর্যন্ত শের-ই-বাংলা সড়ক, জিআরপি ক্যানটিনের সামনে থেকে বঙ্গবন্ধু চত্বর (পাঁচমাথা মোড়) ও ২ নম্বর রেলওয়ে গেট থেকে থানার মোড় পর্যন্ত দুই পাশের ফুটপাত ও সড়ক দখল করে বসছে অস্থায়ী দোকান। এ ছাড়া রাস্তার দুই পাশে স্থায়ী যেসব দোকান রয়েছে, সেগুলোর বেশির ভাগ মালামাল রাখা হয় সড়কে। স্বনামধন্য বেশ কয়েকটি খাবার হোটেলের সামনে সড়ক দখল করে মোটরসাইকেল, মাইক্রো ও প্রাইভেট কার সড়কে পার্ক করা হয়েছে। এতে যানজটসহ মানুষ চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।
আসলাম হোসেন (৪২) নামে এক পথচারী বলেন, দোকানের ভেতরের চেয়ে বাইরে মালামাল রাখা হয় বেশি। এরপর সড়কে রিকশা-ইজিবাইক রাখা হচ্ছে দুই-তিনটি করে। গাড়ি রেখে চলতে থাকে লোড-আনলোড। ফলে সড়কগুলো একেবারেই সরু হয়ে গেছে। এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হয়।
সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্বল্পদিন আগে তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন। ইতিমধ্যে ফুটপাত ও সড়ক দখলের বিষয়ে পরিষদে আলোচনা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম হুসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে যানজট নিরসনে খুব শিগগির ফুটপাত ও রাস্তাঘাট অবৈধ দখলমুক্ত করতে অভিযান পরিচালনা করা হবে।