Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

সীমান্তে অস্থিরতা, বন্ধ নৌযান

কক্সবাজার ও টেকনাফ প্রতিনিধি

সীমান্তে অস্থিরতা, বন্ধ নৌযান

পর্যটন মৌসুম শুরুর প্রথম দিনেই অক্টোবরের ১ তারিখ থেকে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচলের কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে মৌসুমের শুরুতেই টেকনাফের নাফ নদী দিয়ে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন।

বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে বিভক্ত করা নাফ নদীতে নাব্যতা-সংকট দেখা দেওয়ায় এ পথে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। তবে একাধিক সূত্র বলছে, শুধু নাব্যতা-সংকট নয়, মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘাতের কারণে বাড়তি সতর্কতার জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

যদিও টেকনাফ হয়ে সেন্ট মার্টিনে যাওয়া বন্ধ থাকলেও চট্টগ্রাম-সেন্ট মার্টিন নৌপথে একটি ও কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন পথে একটি জাহাজ চলাচল করছে। 
টেকনাফের ভারপ্রাপ্ত উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. এরফানুল হক চৌধুরী বলে, মিয়ানমারে সীমান্তে সে দেশের অভ্যন্তরীণ সংঘাত চলছে। টেকনাফ হয়ে যে জাহাজগুলো সেন্ট মার্টিনে ছেড়ে যায়, সেগুলো নাফ নদী হয়ে যেতে হয়। কিন্তু এ নদীতে নাব্যতা-সংকটের কারণে মিয়ানমারের জলসীমা হয়ে চলাচল করতে হবে। তাই এর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আপাতত টেকনাফ দমদমিয়া ঘাট হয়ে চলাচল বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া কারণে আমার টেকনাফের দমদমিয়া ঘাট দিয়ে জাহাজ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছি। এটি পুনরায় চালু হকে কিছুটা সময় লাগবে।

জানা গেছে, পর্যটন মৌসুমে কক্সবাজার শহর-সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর হয়ে সরাসরি সেন্ট মার্টিন যায় একটি জাহাজ। আর টেকনাফ থেকে নাফ নদী হয়ে যায় আরও আটটি জাহাজ। এসব জাহাজে করে প্রতিদিন সেন্ট মার্টিন ভ্রমণ করেন প্রায় ১০ হাজার পর্যটক। চলতি বছরের গত ৩১ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে জাহাজ চলাচল।

টেকনাফের দমদমিয়া ঘাটের শহিদুল ইসলাম, জুবায়ের ও আলম জানান, এ ঘাট থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকলে হাজারো লোক না খেয়ে থাকবে হবে। একদিকে রোহিঙ্গাদের জন্য কোনো কাজকর্ম নেই অপরদিকে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকলে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো পথ নেই। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘এটি টেকনাফবাসীর জন্য ষড়যন্ত্র। এদিকের সীমান্তে গোলাগুলির কোনো শব্দ বা আতঙ্ক নেই। তা ছাড়া নাব্যতার অজুহাতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না। এদিক দিয়ে পর্যটক যাতায়াতে বেশ কিছু চেকপোস্ট রয়েছে। কিন্তু কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম থেকে যাতায়াত করলে চেকপোস্ট না থাকায় অনায়াসে ইয়াবা পাচার হবে। এটি মাদক কারবারিদের ষড়যন্ত্র।’

জাহাজ মালিকদের সংগঠন সি ক্রুজ অপারেটরস্ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, ‘আপাতত চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার শহর থেকে সাগর পথে দুটি জাহাজ করে পর্যটকেরা সরাসরি সেন্ট মার্টিন যেতে পারবেন। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে বাঁকখালী নদীর নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে ৬৩২ জন ধারণক্ষমতার কর্ণফুলী জাহাজ ও ১৫ অক্টোবর ৫৫০ জনের এমভি বারো আউলিয়া চলাচল শুরু করবে।

এ ছাড়া আগামী ৩ নভেম্বর চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে ১ হাজার ৫০০ জন ধারণক্ষমতার বে-ওয়ান জাহাজ চলাচল করবে।’ কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান বলেন, ‘টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে ডুবোচরের কারণে নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে। এ জন্য আপাতত এ পথে জাহাজ চলাচল সম্ভব হচ্ছে না।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ