হোম > ছাপা সংস্করণ

তহবিলে পড়ে আছে টাকা বেখবর উপকারভোগী

সনি আজাদ, চারঘাট (রাজশাহী) 

সমাজসেবা দপ্তরের রোগী কল্যাণ সমিতির মাধ্যমে দুস্থ ও দরিদ্র রোগীদের চিকিৎসায় সহায়তা দেওয়া হয় রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এতে অর্থায়ন করে সমাজকল্যাণ পরিষদ। তবে এ সেবার ধরন সম্পর্কে জানেন না সাধারণ মানুষ। যার ফলে সরকারি বরাদ্দের টাকা ফেরত যাচ্ছে। অন্যদিকে টাকার অভাবে উপজেলার অসহায় দুস্থ রোগীরা স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন না।

উপজেলা সমাজসেবা দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন সিটি করপোরেশন ও জেলায় ৯০টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল এবং ৩৪২টি উপজেলায় এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ২০১১ সালে চারঘাটে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় রোগী কল্যাণ সমিতির কার্যক্রম। এ সমিতির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১৩ সদস্যের কমিটিও রয়েছে। অথচ উপজেলায় গত ১১ বছরে সেবা পেয়েছেন মাত্র ৩৬১ জন রোগী।

আরও জানা গেছে, গত চার বছরে ৮২ জন রোগীকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে ৯৮ হাজার ১৫৭ টাকা। এর মধ্যে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১৯ রোগীকে ২২ হাজার ৩৭৫, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২৩ রোগীকে ২৫ হাজার ২২৮, ২০২০-২১ অর্থবছরে ২১ রোগীকে ২৯ হাজার ৫৫৪ ও ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৯ রোগীকে ২১ হাজার টাকা চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবছরই বরাদ্দ ছিল ১ লাখ টাকা। খরচ না হওয়ায় চার বছরে প্রায় ৩ লাখ ২ হাজার টাকা তহবিলে অলস পড়ে আছে।

সম্প্রতি চারঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা গেছে, সমাজসেবার রোগী কল্যাণ সমিতির অফিসটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দোতলার এক পাশে তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। যেখানে রোগীদের কোনো পদচারণা নেই। শেষ কবে অফিস খোলা হয়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কেউ বলতে পারেননি।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা উপজেলার মিয়াপুর গ্রামের সাজ্জাদ হোসেনের সঙ্গে কথা হয়। রোগী কল্যাণ সমিতির সম্পর্কে জানেন কি না, প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন না, জানি না। তাঁর মা হাসপাতালে ভর্তি আছেন, দুই দিন হলো। দিনমজুরের কাজ করে খুব কষ্টে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়েছেন, ওষুধের টাকা জোগাড় করতেও হিমশিম খাচ্ছেন। চিকিৎসার জন্য সরকার যে টাকা দেয়, সেটাও তিনি প্রথম জেনেছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুল মানিক বলেন, হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একজন কর্মচারী থাকার কথা থাকলেও লোকবলের অভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না। তবে প্রচারের কাজটি করা হয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ভর্তি রোগীরা সাহায্যের আবেদন না করায় টাকা তহবিলে জমা আছে।

ওই কমিটির সভাপতি এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আশিকুর রহমান বলেন, সাধারণত দরিদ্র ও হাসপাতালে ভর্তি রোগী দেখে তাঁরা এই সহায়তা করে থাকেন। তবে বিষয়টি আরও প্রচার হওয়ার প্রয়োজন। প্রচারের অভাবে অনেকে এ সেবা নিতে আসেন না। তাঁরা এই সেবা প্রচারের জন্য উদ্যোগ নিচ্ছেন।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন