মেহেরাজ হোসেন সুজন ও সমির মল্লিক, নানিয়ারচর (রাঙামাটি) ও খাগড়াছড়ি
রাঙামাটির দুর্গম ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের ভুইয়াদম গ্রামে এখন অন্যরকম আনন্দ। এ গ্রামেরই মেয়ে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের গোলরক্ষক রুপনা চাকমা। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের পাঁচ ম্যাচে যার বিপক্ষে গোল হয়েছে মাত্র একটি!
রুপনা ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট। উপজেলার হাজাছড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাঁর পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশোনা কালে স্কুল ফুটবলে দেখিয়েছিলেন নৈপুণ্য। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি রুপনাকে।
রুপনারা চার ভাইবোন। তাঁর দুই ভাই অতিলা চাকমা ও শান্তি জীবন চাকমা। আর এক বোন শান্তি দেবী চাকমা। দুই চোখে আনন্দ অশ্রু নিয়ে রুপনার মা কালাসোনা চাকমা বলেন, ‘বাবা ছাড়া এতগুলো ছেলেমেয়ে বড় করতে আমার যে দুর্বিষহ দিন কেটেছে, তা বললে শেষ হবে না। তবে আমি খুবই আনন্দিত আমার মেয়ের এই বিজয় দেখে।’
এদিকে আনন্দের জোয়ার ছড়িয়ে পড়েছে খাগড়াছড়িতে। চলছে মিষ্টি বিতরণ। মনিকা চাকমা, আনাই মগিনী ও আনুচিং মগিনী ছাড়াও দলের সহকারী কোচ তৃষ্ণা চাকমার বাড়ি এ জেলায়।
আনাই ও আনুচিংয়ের বাবা রিপ্রু মগ বলেন, ‘বাংলাদেশের বিজয়ে আমাদের গ্রামে মিষ্টি বিতরণ করেছি।’
শিরোপা জেতার খবরে বাংলাদেশের নারী ফুটবল দলের তিন ফুটবলার এবং সহকারী কোচের জন্য চার লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস।
প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘এ জয়ের বড় অংশীদার খাগড়াছড়ির ফুটবলাররা। তাঁদের এ অর্জনে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন ফুটবলার এবং এক কোচের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে চার লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।’