ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
কয়েক দিন ধরে আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তন দেখা দিয়েছে চাঁদপুরে। রাত শেষে ভোরে আলো ফুটলেও কিছু স্থানে কুয়াশাচ্ছন্ন দেখা যায়। সঙ্গে শীত শীত ভাব। এতে বোঝা যায়, দরজায় কড়া নাড়ছে শীত। আর শীতের আগমনে লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের কারিগরেরা।
শীতকে সামনে রেখে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ছুটে বেড়াচ্ছেন এসব কারিগর। আবার অনেকে দরদাম ঠিক করে বাড়িতেই বানিয়ে নিচ্ছেন পছন্দমতো এই শীত উপাদান।
শীতের শুরুতেই ধুনারিদের তুলা ধুনা ও লেপ তৈরির কাজে কর্মচাঞ্চল্য বেড়েছে। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খরচের দিকটাও বাড়তে থাকবে বলে আগেভাগেই লেপ-তোশক বানাতে শুরু করেছেন অনেকে।
কারিগরদের তাই এখন দম ফেলার ফুরসত নেই। বিরামহীন কাজ করছেন তাঁরা। কেউ কেউ পুরোনো লেপ ভেঙে নতুন করে বানিয়ে নিচ্ছেন। আবার কেউ নতুন তুলা দিয়ে তৈরি করে নিচ্ছেন লেপ, তোশক ও বালিশ।
উপজেলার নয়াহাট বাজারে চরমথুরা গ্রাম থেকে লেপ তৈরি করতে আসা আবদুল খালেক বলেন, এখনো শীত জেঁকে না বসলেও আগেভাগেই শীতের জন্য একটি লেপ বানানো হচ্ছে।
নয়াহাট বাজারের লেপ-তোশকের দোকানের মালিক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, শীত এখনো তেমনভাবে না এলেও অনেকে আগেভাগেই লেপ, তোশক, জাজিম বানাতে আসছেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর ক্রেতার সংখ্যা বেশি বলে মনে হচ্ছে। সারা বছরের চেয়ে শীতের এ তিন মাস বিক্রি বেশিই হয়। তাই ক্রেতাদের কথা ভেবে কাজের গুণগত মান বজায় রেখে অর্ডারের পাশাপাশি রেডিমেড জিনিসও তৈরি করে বিক্রি করা হচ্ছে।
নয়াহাট বাজারের ঢালী বেডিংয়ের ধুনারি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, শীত উপলক্ষে লোকজন নতুন লেপ, তোশক ও জাজিম তৈরি করার জন্য অর্ডার দিচ্ছেন। প্রতি পিস ছোট লেপ ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, বড় লেপ ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা এবং প্রতি পিস তোশক ছোট ৯০০-২ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তা ছাড়া ভারী জাজিম ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে খরচ পড়ে।
তবে পুরোপুরি শীত নামার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি দাম আরও বাড়বে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।