দেশে প্রতিনিয়ত নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে চলেছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচও। চড়া দ্রব্যমূল্যের এই বাজারে ১২০ টাকা মজুরি অমানবিক। সবকিছুর দাম বাড়লেও চা-শ্রমিকদের মজুরি বাড়ে না।
গতকাল মঙ্গলবার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে মানববন্ধনে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নেতারা এসব কথা বলেন।
মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে চলমান চা-শ্রমিকদের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে চা-বাগানের শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা নির্ধারণ করার দাবি জানান বক্তারা।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে মানববন্ধনে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নেতারা এ কথা বলেন।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক ইফরাতুল হাসান রাহিমের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরী সদস্য আব্দুল বাসিত সাদাফ, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাইমিনুল বাশার রাজ এবং চা-শ্রমিকদের প্রতিনিধি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী রুপালি পাল।
২০২১ সালের ১৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা বাংলাদেশি চা সংসদের কাছে ৩০০ টাকা দৈনিক মজুরিসহ ২০ দফা দাবি জানান। দাবির বাস্তবায়িত না হওয়ায় ৯ আগস্ট থেকে সারা দেশের চা-বাগানে দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন শ্রমিকেরা। কর্মবিরতি শেষে তাঁরা কাজে ফিরেছিলেন। এরপরও মালিকপক্ষ দাবি মেনে না নেওয়ায় শ্রমিকেরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে যান।