কুষ্টিয়া জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয়ে ঘুষ আদায়ের অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) কার্ডের জন্য আঙুলের ছাপ নেওয়ার সময় ঘুষ নেওয়া, বিদেশ গমন-ইচ্ছুকদের কাছ থেকে নিয়মবহির্ভূতভাবে টাকা নেওয়ার অভিযোগ পেয়ে গত বুধবার দুদক এ অভিযান চালায়।
দুর্নীতি দমন কমিশন, কুষ্টিয়ার সহকারী পরিচালক নীল কমল পালের নেতৃত্বে সহকারী পরিচালক চৌধুরী বিশ্বনাথন আনন্দ, রকিবুল ইসলাম ও উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আশিকুর রহমান এবং মোহাম্মদ আবু তালহার সমন্বয়ে গঠিত এনফোর্সমেন্ট টিম ওই অভিযান চালায়।
দুদক সূত্রে জানা যায়, কম্বোডিয়া, সিঙ্গাপুর, ওমানসহ বেশ কয়েকটি দেশে শ্রমিক ভিসায় যেতে আগ্রহী ব্যক্তিদের নীতিমালা অনুসারে সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসের ইস্যু করা ভিসার সত্যায়ন কপি প্রাপ্তি সাপেক্ষে স্ব স্ব জেলার জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো কার্যালয়ে কোনো রকম ফি ছাড়া আঙুলের ছাপ নেওয়ার বিধান রয়েছে।
জানা গেছে, দেশের বাইরে যেতে ইচ্ছুক এসব ব্যক্তিরা আঙুলের ছাপ দিতে গেলে জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয়ে ভিসার সত্যায়ন ছাড়াই ঘুষ নিয়ে বিএমইটির কার্ড দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরে চলা এমন অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয়, কুষ্টিয়ায় অভিযান চালায় দুদক। অভিযানে সহকারী পরিচালক (বিএমইটি) মোহাম্মদ মশফিকুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং সেই সঙ্গে দপ্তরের গুরুপূর্ণ ফাইলপত্র পর্যালোচনা করেন। এ সময় দুদকের সরেজমিন পরিদর্শনকালে কার্যালয়ের নিজস্ব কর্মকর্তা কর্মচারীদের বাইরেও বহিরাগত দালালদের দৌরাত্ম্য দুদকের দৃষ্টিগোচর হয় বলেও দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
জানতে চাইলে জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয়, কুষ্টিয়া কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক (বিএমইটি) মোহাম্মদ মশফিকুর রহমান বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ সত্য নয়।’ তবে দুদকের অভিযান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি কোনো কথার জবাব দেননি।
দুদকের সমন্বিত কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নীল কমল পাল গতকাল বৃহস্পতিবার বলেন, ‘ওই কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের ঘুষ নেওয়াসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে সেখানে অভিযান চালানো হয়। আমরা সেখানে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলি এবং সেখান থেকে অভিযোগের বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে নিয়ে আসা হয়েছে।’
দুদকের সমন্বিত কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, ‘জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয়ের বিরুদ্ধে আসা কিছু অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে দুদকের পক্ষ থেকে একটি দল অভিযান চালায়।’