ক্রীড়া ডেস্ক
কঠিন চ্যালেঞ্জ উতরে যাওয়া নতুন কিছু নয় টমাস টুখেলের কাছে। পিএসজি থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর চেলসিতে এসেই সেটি প্রমাণ করেছিলেন জার্মান কোচ। দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই ধুঁকতে থাকা চেলসিকে ২০২১ সালে এনে দিয়েছিলেন চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা।
এবার টুখেলের সামনে আরেক চ্যালেঞ্জ। গত মাসে বায়ার্ন মিউনিখ থেকে ছাঁটাই হওয়া কোচ হুলিয়ান নাগেলসমানের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তিনি। চেলসি থেকে বরখাস্ত হওয়া কোচের অধীনে যদি বাভারিয়ানরা এবার ফাইনাল খেললে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। নিজেকে যে আর আগেই প্রমাণ করে ফেলেছেন ৪৯ বছর বয়সী কোচ।
তবে আজ রাতে আরেকটি বড় পরীক্ষায় নামতে হচ্ছে টুখেলকে। চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে মুখোমুখি হবেন ম্যানচেস্টার সিটির। ইতিহাদ স্টেডিয়াম নতুন নয় তাঁর কাছে। টুখেলের জানা আছে সিটির কোচ পেপ গার্দিওলার শক্তি-দুর্বলতাও। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ তো বটেই, বুন্দেসলিগায় বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে কতবারই তো স্প্যানিশ কোচের মুখোমুখি হয়েছেন টুখেল। গার্দিওলাও বায়ার্নের দায়িত্ব ছাড়ার পর এখন সিটিজেনদের চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতানোর স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। তবে টুখেলের বিপক্ষে গত তিন ম্যাচের একটিতেও জিততে পারেননি তিনি।
সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে সর্বশক্তির দলই নামাতে হবে গার্দিওলাকে। আর্লিং হালান্ড দুর্দান্ত ছন্দে থাকায় স্বস্তিতে তিনি। তবে ম্যানচেস্টার সফরে ফরোয়ার্ড চোপো-মোতিংকে পাচ্ছেন না টুখেল। এই ম্যাচ দিয়ে পুরোনো ঠিকানায় ফিরবেন সিটি থেকে ধারে বায়ার্নে আসা জোয়াও কানসেলো।
প্রতিপক্ষের শক্তি জানা থাকলেও এবার ফাইনালে খেলার ব্যাপারে আশাবাদী গার্দিওলা। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে সেটির ইঙ্গিতও দিলেন ৫২ বছর বয়সী কোচ, ‘আবারও ইউরোপের কোয়ার্টার ফাইনালের এই মুহূর্তটি উপভোগের। সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বরে আমি কম উপভোগ করেছি। যখন আপনি চূড়ান্ত মঞ্চে যাবেন, শিরোপা জিততে লড়বেন, আমি হব পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ।’
শেষ আটের প্রথম লেগে আজ বেনফিকার মুখোমুখি হবে ইন্টার মিলান।