Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

বুটপলিশ মার্কেটে ফিরেছে সুদিন

আল-আমিন রাজু, কক্সবাজার থেকে ফিরে

বুটপলিশ মার্কেটে ফিরেছে সুদিন

দেশের পর্যটন শহর কক্সবাজার। সাগরতীরের এ শহরটি মানুষের অবসর উপভোগের ঠিকানা। এবার কক্সবাজার শহরে পাওয়া গেল ভিন্ন রকম এক বাজার। মুচি বা জুতা মেরামতকারীদের বাজার। কিছুটা অবাক করা হলেও কক্সবাজার শহরের লালদীঘির পাশেই গড়ে উঠেছে বুটপলিশ মার্কেট। পর্যটকদের জন্য নির্ধারিত এলাকা থেকে শহরের ভেতর যেতেই বিশাল এক দিঘি চোখে পরবে। নাম তার লালদীঘি। দিনের তপ্ত রোদ শেষে সন্ধ্যাবেলা দিঘির চারপাশজুড়ে বসে মানুষের আড্ডা। ক্লান্তি ভোলানো এই আড্ডা সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হয়ে যায়।

এই লালদীঘির পশ্চিম পাশেই বঙ্গবন্ধু সড়ক। সড়ক ধরে একটু এগিয়ে যেতে লালদীঘি জামে মসজিদ। আর এই মসজিদের নিচতলায় গড়ে উঠেছে বুটপলিশ মার্কেট। সারি সারি দোকানে বসে ক্রেতাদের জুতা মেরামত করছেন কারিগরেরা। গোছানো পরিপাটি দোকান, লাইট আর ফ্যানের নিচে বসে জুতা ঠিক করার এই দৃশ্যটির সঙ্গে চিরপরিচিত জুতা মেরামতের দৃশ্যকে ঠিক মেলানো যায় না।

 একটু খোঁজ করতেই জানা গেল বিষয়টি। ২০১৯ সালে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) তৎকালীন চেয়ারম্যান লে. কর্নেল ফোরকান আহমদের একান্ত প্রচেষ্টায় গড়ে উঠেছে এই মার্কেট। ভিন্ন ধরনের এই মার্কেটে ২২টি দোকান রয়েছে। এর ২০ নম্বর দোকানের বরাদ্দ পেয়েছেন গোপীচান দাস। তিনি জানালেন, ১৯৭৫ সাল থেকে জুতা মেরামতের করেছে চলেছেন। একসময় লালদীঘির পাশে বঙ্গবন্ধু সড়কের ফুটপাতে রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে কাজ করতেন। বেশ কয়েকবার মুখোমুখি হয়েছিলেন নিয়ন্ত্রণহীন গাড়ির দুর্ঘটনার। তবে জীবনের শেষ বয়সে এসে মাথার ওপর ফ্যান আর লাইটসহ পেয়েছেন নতুন ঠিকানা।

গোপীচান বলেন, ‘কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান লে. কর্নেল ফোরকান আহমদ আমাদের দুঃখ বুঝেছেন। কোনো ধরনের টাকাপয়সা ছাড়াই আমাদের স্থায়ী বরাদ্দ দিয়েছেন। একটা টাকা ছাড়া এমন কাজের জায়গা পেয়ে আমরা তাঁর প্রতি চিরকৃতজ্ঞ।’ ১৩ নম্বর দোকানের মালিক কৃষাণ ঋষি দাস বলেন, ‘সারা দিন কাজ করলে হাজার টাকার ওপরে আয় হয়। দোকান ভাড়া দিতে হয় না। বিনা টাকায় এমন সুযোগ পাব, আমরা কল্পনাও করতে পারিনি।’

এই মার্কেটে জুতা মেরামত করাতে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আসে। তেমনই একজন মো. খোরশেদ আলম। পেশায় ব্যবসায়ী খোরশেদ ৩০ টাকা রিকশা ভাড়া দিয়ে বুটপলিশ মার্কেটে জুতা কালি করাতে এসেছেন। তিনি জানান, এই মার্কেটের কারিগরেরা মানসম্মত কাজ করেন। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী কাজ পাওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে মানুষ তাঁদের কাছে আসে।

আশ্চর্যের বিষয় হলো, কক্সবাজার শহরের প্রাণকেন্দ্রে দোকান বরাদ্দ পাওয়া ২২ জুতা মেরামতকারীর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায়। তবে তাঁরা পৈতৃক পেশার কারণে কর্মজীবনের শুরু থেকেই লালদীঘির পাড়ে কাজ করছেন। মার্কেটের দোকানিদের দুঃখ তাঁদের জন্য টয়লেটের ব্যবস্থা নেই। মসজিদের ভেতরে গিয়ে সারতে হয় জরুরি মুহূর্তের কাজ। কিন্তু তাঁরা সবাই হিন্দুধর্মাবলম্বী হওয়ায় বাধ্য না হলে যান না। তাই ২২ দোকানির প্রাণের দাবি, তাঁদের জন্য মার্কেটের পাশেই যেন একটি টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি