Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে চলছে প্রচার

কুমিল্লা প্রতিনিধি

বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে চলছে প্রচার

বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচারণা চালাচ্ছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। নিত্যদিনের মতো দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। প্রার্থীরা একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ করছেন কয়েক দিন ধরে। তবে সাধারণ ভোটাররা বলছেন জেনে শুনেই ভোট দেবেন যোগ্য প্রার্থীদের।

গতকাল শনিবার আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত সকালে নগরীর কাশারীপট্রি, চকবাজার, শাপলা মার্কেট এলাকায় গণসংযোগ করেন। বিকেলে রামঘাট দলীয় কার্যালয়ে কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের সভায় অংশ নেন। এ ছাড়া ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে হাউজিং এস্টেট এলাকা, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে বল্লভপুর, পুরাতন চৌয়ারা ধনপুর ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের দয়াপুরে পথসভা ও উঠান বৈঠক করেন।

নির্বাচনী পথসভায় আরফানুল হক রিফাত বলেন, মেয়র নির্বাচিত হতে পারলে প্রথমেই যানজট ও জলাবদ্ধতা দূর করব। নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার করা হচ্ছে, এমন অভিযোগে আরফানুল হক রিফাত বলেন, এটা একটা হাস্যকর ব্যাপার। এর কোনো সত্যতা নেই। আমি সাধারণ একজন মানুষ। আমি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে ৪০ বছর রাজনীতি করে আসছি। আমার বিরুদ্ধে কুমিল্লাবাসীর কোনো অভিযোগ নেই। আমাকে কলুষিত করার জন্য যারা অপপ্রচার করছে, তারা বিভিন্ন মামলার আসামি।

এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী টেবিল ঘড়ি প্রতীকের মনিরুল হক সাক্কু সকালে নগরীর ২১ নম্বর ওয়ার্ডের শাকতলা ও গোবিন্দপুর এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ ছাড়া বিকেলে সাক্কুপত্নী ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গোবিন্দপুর খলিফাবাড়ি ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে শাহাপাড়া দুর্গামন্দির মাঠে উঠান বৈঠক করেন।

গণসংযোগকালে মনিরুল হক সাক্কু বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার করা হচ্ছে। কোনো প্রমাণ ছাড়া এসব বলা ঠিক না। আমি কারও বিরুদ্ধে কথা বলতে চাই না। আমার সঙ্গে মাদকসেবীরা ঘোরে, এমন অপপ্রচার করা হয়। এমন লোক আমার সঙ্গে থাকলে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দিতে বলব। ওনার নাম তো প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের মাদককারবারির তালিকায় ১ নম্বরে আছে। আমার নাম তো আসে নাই। মাদককারবারির তালিকার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে গিয়ে অনশন করুক। কেন এ দপ্তর থেকে এ তালিকা আসল। বিভিন্ন পত্রিকায় তো প্রমাণ ছাড়া নিউজ আসে নাই। উনি (রিফাত) আমার বিচার করবে, উনি কে? দুদক না সরকার? অপপ্রচার না করে আমার মতো মানুষের কাছে যাক, ভোটের কথা বলুক।

এদিকে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের হাতপাখা প্রার্থী রাশেদুল ইসলামকে প্রচারণায় দেখা গেলেও আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল হাসান বাবুলের কোনো প্রচারণা দেখা যায়নি।

নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কাজী ফারুক বলেন, প্রার্থীরা একজন আরেক জনের বিরুদ্ধে কথা বলছেন, এটা তাঁদের নির্বাচনী কৌশল। তবে আমরা জেনে বুঝেই ভোট দেব।

প্রার্থীরা একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের বিষয়ে নগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার মেরাজ হোসেন বলেন, কারও কথায় নয়, কুমিল্লার উন্নয়ন যে করতে পারবেন, তাঁকেই ভোট দেব।

কুসিক নির্বাচন সম্পর্কিত খবর জানতে - এখানে ক্লিক করুন

নগরীর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, একে অপরের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার একটা অপসংস্কৃতি। প্রার্থীরা কে কী করেছেন, তাঁরা কেমন নগরবাসী, তা বিবেচনা করেই তাঁদের ভোট দেবেন। কুমিল্লা সিটিতে মেয়র পদে লড়ছেন পাঁচ প্রার্থী। ১৩ জুন রাত ৮টায় কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের প্রচারণা শেষ হবে। ১৫ জুন ভোট।

কুসিক নির্বাচন ২০২২ সম্পর্কিত পড়ুন:

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ