দখলের হাত থেকে বুড়িগঙ্গা নদীকে বাঁচাতে বারবার উচ্ছেদ করা হয় অবৈধ স্থাপনা, কিন্তু কোনোভাবেই উদ্ধার হয় না বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল। কিছু জায়গায় ভাঙা ভবন পুনরায় মেরামত করা হচ্ছে। সর্বশেষ গত ২৬ ডিসেম্বর থেকে টানা ছয় দিন কামরাঙ্গীরচর মৌজায় যে উচ্ছেদ অভিযান হয়েছে, এরপরও একই অবস্থা হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ), ঢাকা জেলা প্রশাসন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অভিযানে ২১৯টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার লালবাগ শহীদনগরে বেড়িবাঁধ এলাকায় দেখা গেছে, উচ্ছেদ হওয়া সেই ভবনগুলো পুনরায় দখলে নেওয়া হচ্ছে। উচ্ছেদের তালিকাভুক্ত অন্তত দশটি বহুতল ভবন, যেগুলোর দেয়াল ভেঙে দেওয়া হয়েছিল, সেগুলোকে মেরামত করা হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক গুলজার আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা হাইকোর্টের নির্দেশনা মেনে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করছি। বাকিটা সিটি করপোরেশনের বিষয়।’ ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘উচ্ছেদের কাজ শেষ হলে সীমানাপ্রাচীর দেওয়া হবে। পুনরায় দখল করলে আবার ভাঙা হবে। দখলের সুযোগ নেই।’