দিনাজপুরের বিরামপুরের বাজারে আসছে আগাম জাতের অপরিপক্ব লাল লিচু। স্বাদে কিছুটা ভিন্নতা থাকলেও এসব লিচুর সৌন্দর্য নজর কেড়েছে ক্রেতাদের। শহরের ঢাকা মোড়ে ঘুরে দেখা যায়, লিচুর পসরা সাজিয়ে বসে আছেন খুচরা বিক্রেতারা। অপরদিকে, বাজারে আগাম লিচু দেখে ভিড় করছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের। চলছে দরদাম ও লিচুর স্বাদ নিয়ে নানা মতামত। বাজারে মাদ্রাজি ও বোম্বে জাতের লিচু উঠেছে। প্রতি ১০০টি লিচু ১৮০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিকছন চন্দ্র পাল বলেন, আর কয়েক দিন পরেই প্রায় সব জাতের লিচু পাকা শুরু হবে। মাটি ও আবহাওয়ার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন জাতের লিচু ইতিমধ্যে পরিপক্ব হয়েছে। তবে কিছু চাষি অধিক মুনাফার আশায় লিচুর রং আসার আগে অপরিপক্ব লিচু বাজারে বিক্রি করছেন। আমরা খুব তাড়াতাড়ি বিষমুক্ত ও অপরিপক্ব লিচুর বিষয়ে বাজারে মনিটরিং করব।
কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, উপজেলায় প্রায় ১০০ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়। ছোট-বড় মিলিয়ে লিচুর বাগান রয়েছে প্রায় ৪৫০টি। অপরদিকে, পুরো উপজেলায় লিচু চাষে জড়িত আছেন প্রায় ৬০-৭০ জন চাষি। তার মধ্যে ৩৫ জন চাষি বাগান আকারে লিচুর চাষ করেন। আর বাকিরা নিজ নিজ বাড়ি ও উঁচু জমিতে লিচুর চাষ করেন।
জামান নামে এক ব্যক্তি বাজার থেকে ৫০টি লিচু কিনেছেন, তিনি বলেন, ‘স্বাদ হয়তো খুব একটা ভালো হবে না। তবে বছরের নতুন ফল হিসেবে পরিবারের জন্য কিছু লিচু কিনলাম। মানুষকে বলতে তো পারব, বছরের নতুন ফলের স্বাদ আমি অন্য সবার আগে গ্রহণ করেছি।’ ঢাকা মোড়ের একটি দোকানে লিচুর দরদাম করছিলেন জাহিদুল। কিন্তু তিনি লিচু না কিনেই ফিরে যাওয়ার সময় বলেন, ‘এসব লিচু অপরিপক্ব। ভেতরে মাংস নেই বললেই চলে। শুধু বড় বড় বিচি আছে। টাকা দিয়ে এসব লিচু কেনা মানে বোকামি এবং দামও চড়া।’ জাকারিয়া নামের এক লিচু ব্যবসায়ী বলেন, ‘এ বছর লিচুর ফলন নেই বললেই চলে। আমরা যারা লিচুর চাষ করেছি, তাঁদের ফকির হওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।’