২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত হন শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ইকবাল হোসেন অপু ও শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম। গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের আঘাতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত সৃষ্টি হয় তাঁদের। ১৮ বছর ধরে সেই ক্ষত ও স্প্লিন্টার শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছেন এই দুই নেতা।
গতকাল রোববার নড়িয়া উপজেলা ও সখীপুর থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন এ কে এম এনামুল হক শামীম। এ সময় স্মৃতিচারণা করে তিনি বলেন, ২১ আগস্টের বিভীষিকাময় ঘটনা মনে করে এখনো রাতে ঘুম ভেঙে যায়। সেদিন আপার (শেখ হাসিনা) বক্তব্য শুরুর আগে মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করা ট্রাকটির সামনে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিচ্ছিলাম। বক্তব্যের শেষ মুহূর্তেই আপা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়া হয়। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ছাত্রলীগ নেতা সেন্টু মারা গেল। আমি গ্রেনেডের আঘাতে রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে পড়ে যাই। স্থানীয়রা উদ্ধার করে এলিফ্যান্ট রোডের একটি হাসপাতালে নেয়। সেখানে চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। পরে সিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। সেখানেও পুলিশ হানা দেয়। পরে ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন অপু বলেন, ‘শরীরে গ্রেনেড নিয়ে রাজনীতির পথ চলছি, মাঝেমধ্যে যন্ত্রণায় কাতরাতে হয়। সেদিন সহযোদ্ধা বন্ধু সেন্টু আমাদের পাশে ছিলেন। তিনি প্রাণ হারান, আমিও মারা যেতে পারতাম।’
গতকাল জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।