বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে পটুয়াখালী ও ঝালকাঠিসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সাগর উত্তাল ছিল। নদী ও সাগরের পানির উচ্চতা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে ২-৩ ফুট বেশি। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ঝালকাঠি জেলার অন্তত ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়া এলাকা ও কলাপাড়ার লালুয়া এলাকার বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে ওই দুটি এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। কোথাও কোথাও দেখা দিয়েছে স্থায়ী জলাবদ্ধতা। উত্তাল সাগরের ঢেউয়ের তাণ্ডবে টিকতে না পেরে অন্তত ৫ হাজার ট্রলার পটুয়াখালীর কলাপাড়ার আলীপুর-মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ও রাঙ্গাবালীর চরমোন্তাজ ও মৌডুবি মৎস্য কেন্দ্রে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে। পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়েছে।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর থেকে মুষলধারে বৃষ্টিতে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হয়নি। প্রবল বৃষ্টিতে শহরের কোথাও কোথাও দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী জানান, গত বুধবার বেলা ৩টা থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৪২ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী কয়েক দিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
ঝালকাঠির বিষখালী ও সুগন্ধাসহ জেলার সব কয়টি নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২-৩ ফুট বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার ৪ উপজেলার কমপক্ষে ২৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘু চাপ, পূর্ণিমার জো এবং বৃষ্টির সঙ্গে বাতাস হওয়ায় কারণে জোয়ারের পানিতে এসব গ্রাম তলিয়ে যায়।