নড়াইলের কালিয়ায় হাবিবুল আলম বীরপ্রতীক কলেজের শিক্ষক মনোজ কুমার পোদ্দারের বিরুদ্ধে ইউএনও ও অধ্যক্ষ্যের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে সাত মাসের বকেয়া বেতন তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। তবে মনোজ কুমার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, মনোজ কুমার পোদ্দারের ৭ মাসের অবৈতনিক ছুটি মঞ্জুর করা্ হয়েছিল। কলেজ কর্তৃপক্ষ বেতন না দেওয়ায় তিনি কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি কালিয়ার ইউএনও মো. আরিফুল ইসলাম ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মাহামুদুল হকের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে সোনালি ব্যাংকের কালিয়া শাখা থেকে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা তোলেন। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মাহামুদুল হক বলেন, ‘আমি বকেয়া বেতন বিলে স্বাক্ষর করিনি।’
ইউএনও বলেন, ‘আমার স্বাক্ষর স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে জালিয়াতি করা হয়েছে।’ সোনালি ব্যাংক কালিয়া শাখার ম্যানেজার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘তুলে নেওয়া টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’
মনোজ কুমার পোদ্দার জানান, কারও স্বাক্ষর জালিয়াতি করেননি এবং বকেয়া বেতন বাবদ কোনো টাকা ব্যাংক থেকে তোলেননি।