Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

বিদ্যালয়ের মাঠে পশুর হাট

এনামুল হক, ফুলপুর

বিদ্যালয়ের মাঠে পশুর হাট

ফুলপুর উপজেলার বালিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বসছে গরু-ছাগলের হাট। এতে মাঠে গোবর ও ময়লা-আবর্জনা জমে থাকায় তীব্র ভোগান্তির শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া ছোট ছোট একাধিক নালা থাকায় সেখানে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা করার পরিবেশ নেই। বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাই গরু-ছাগলের হাট বসানোর জন্য মাঠটি ইজারা দিয়েছেন বলে এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬০ সালে বালিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৭৬০ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছেন। শিক্ষক রয়েছেন ১৪ জন। এ ছাড়া কর্মচারী আছেন চারজন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, মাঠে গরু-ছাগলের হাট বসায় ময়লা আবর্জনা জমে থাকে। তা ছাড়া পানি সরানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে একাধিক ছোট ছোট নালা। বৃষ্টি হলেই কাদা-পানি জমে একাকার হয়ে যায় মাঠটি। তা ছাড়া মাঠে অনেক দিন ধরে মাটি না ফেলায় মাঠ উঁচু নিচু হয়ে আছে। ফলে ইচ্ছা থাকলেও খেলাধুলা করা যায় না।

সরেজমিনে জানা যায়, বেলা ১টা থেকেই মাঠে গরু ও ছাগল নিয়ে আসতে শুরু করেন বিক্রেতারা। ক্রেতাদের অনেকেই মাঠে বাঁশ পুঁতে সেখানে গরু ও ছাগল বেঁধে রাখেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শোরগোল শুরু হয় ক্রেতা-বিক্রেতাদের। বেচাকেনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন তাঁরা। রাত অবধি চলে বেচাকেনা। হাট শেষ হলে গোবর আর ময়লায় ভরে থাকে মাঠ।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফুলপুর উপজেলার মধ্যে যে কটি বড় বাজার রয়েছে, তার মধ্যে বালিয়া বাজার অন্যতম। প্রতি বৃহস্পতি ও রোববার সেখানে হাট বসে। তবে শুধু বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে বসে গরু-ছাগলের হাট।

বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক বছরের জন্য মাঠটি ইজারা দিয়েছেন। বাজারের ইজারাদার আব্দুল মালেক সরকার এ মাঠটি ইজারা নিয়েছেন।

এ বিষয়ে ইজারাদার আব্দুল মালেক সরকার বলেন, গরু-ছাগলের হাট বসানোর জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এক বছরের জন্য ২ লাখ ৩০ হাজার টাকায় এ মাঠটি তিনি ইজারা নিয়েছেন। পুরো টাকাই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিয়েছে।

বিদ্যালয় কমিটির সভাপতি আবুল কাশেম সরকার জানান, বিদ্যালয় মাঠ ইজারা দেওয়ার সময় তিনি কমিটিতে ছিলেন না। এখন তিনি এ ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেবেন।

জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু এমরান জানান, গরু-ছাগলের হাট বসানোর জন্য কোনো জায়গা নেই। ফলে ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মাঠটি ইজারা দেওয়া হয়েছে। টাকা রসিদমূলে সংগ্রহ করে তা বিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসেবে জমা করা হয়। কোনো অনিয়ম করা হয়নি বলে জানান তিনি।

ফুলপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসরীন আক্তার বলেন, বিদ্যালয় মাঠে গরু-ছাগলের হাট বসানোর ব্যাপারে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ময়মনসিংহ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তিনি জানেন না। তবে এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ