হোম > ছাপা সংস্করণ

টুয়েলভথ ফেল: যে গল্প প্রেরণা জোগায়

বিনোদন ডেস্ক

‘রিস্টার্ট’ অর্থাৎ সব ঝেড়ে ফেলে আবার শুরু। যতবারই হোঁচট খাওয়া, হেরে যাওয়া, ততবারই রিস্টার্ট। এই থিমে দাঁড়িয়ে আছে ‘টুয়েলভথ ফেল’ সিনেমার গল্প। উত্তর ভারতের এক পিছিয়ে পড়া জনপদের আরও পিছিয়ে পড়া পরিবারের সন্তান মনোজ। ভালো ছাত্র নয় সে। দ্বাদশ শ্রেণিতে হিন্দি ছাড়া সব বিষয়ে ফেল। একটি ঘটনা তাকে বদলে দেয় একদিন। সে সিদ্ধান্ত নেয়, ডিএসপি হবে। বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়ে স্বপ্ন বুকে নিয়ে। পথে বেরিয়ে স্বপ্ন আরও বড় হয়। আরও বড় কর্মকর্তা হওয়ার যুদ্ধে নেমে সামলাতে হয় নানা প্রতিকূলতা। কখনো লাইব্রেরি ঝাড়ু দেওয়া, চায়ের দোকানে, আটার মিলে কাজ করা, আর পদে পদে অপমান মাথায় নিয়েও সে তার লক্ষ্য থেকে সরে না।

যখনই ব্যর্থতা আসে, চারপাশ থেকে আসে অনুপ্রেরণাও। সেই অনুপ্রেরণার ঝোলা কাঁধে নিয়ে অবশেষে একদিন আইপিএস কর্মকর্তা হয় মনোজ।

বিধু বিনোদ চোপড়ার ‘টুয়েলভথ ফেল’ সিনেমা গত ২৭ অক্টোবর প্রথমে মুক্তি পায় সিনেমা হলে। ‘স্লিপার হিট’ তরিকায় অর্থাৎ ধীরে ধীরে এ সিনেমার খবর ছড়াতে থাকে। মাত্র ২০ কোটি রুপিতে নির্মিত সিনেমা আয় করে ৬৬ কোটি রুপির বেশি। এরপর গত ২৯ ডিসেম্বর ডিজনি প্লাস হটস্টারে মুক্তির পর থেকে আলোচনার কেন্দ্রে টুয়েলভথ ফেল, মনোজ আর তার প্রেমিকা শ্রদ্ধার গল্প।

২৬০ বার লেখা চিত্রনাট্য
অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, টুয়েলভথ ফেলের ২৬০টির বেশি চিত্রনাট্য লিখেছেন বিধু বিনোদ চোপড়া। তিনি বলেন, ‘এই সিনেমার চিত্রনাট্য আমি প্রায় তিন বছর সময় নিয়ে লিখেছি। ৬৬ বছর বয়সে লেখা শুরু করেছিলাম, আর এখন বয়স ৭১ বছর। এ সিনেমার জন্য জীবন থেকে প্রায় সাড়ে চার বছর চলে গেছে।’

পথের পাঁচালীকে ট্রিবিউট
গল্প ও নির্মাণশৈলী ছাড়াও ‘টুয়েলভথ ফেল’ সিনেমার উল্লেখযোগ্য বিষয় এর আবহ সংগীত। বলা চলে, আবহ সংগীত এ সিনেমাকে আরও বাস্তব ও হৃদয়গ্রাহী করেছে। টুয়েলভথ ফেল দেখতে গিয়ে সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’ সিনেমায় রবিশঙ্করের করা সংগীত হয়তো অনেকের মনে উঁকি দিয়েছে। কপিরাইট নিয়ে পথের পাঁচালীর সংগীত এ সিনেমায় ব্যবহার করেছিলেন নির্মাতা। বিধু বলেন, ‘অসাধারণ হয়েছিল, কিন্তু হুবহু এ সংগীত ব্যবহারের সাহস আমার হয়নি। সংগীত পরিচালক শান্তনু মৈত্রকে বলি কিছু একটা করতে। সেতার, সরোদ ও বাঁশি—শুধু এ তিনটি যন্ত্র ব্যবহার করতে চেয়েছিলাম। শান্তনু আড়াই মাস ধরে কাজ করেছেন। তারপরও আমার পছন্দ হচ্ছিল না।

দরিদ্র পরিবারের সন্তান, দ্বাদশ শ্রেণি ফেল মনোজ নিজের পরিশ্রম, জেদ আর সততার জোরে কীভাবে একদিন পৌঁছায় নিজের লক্ষ্যে—তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বলিউড সিনেমা ‘টুয়েলভথ ফেল’। এ চরিত্রে প্রশংসিত হচ্ছেন বিক্রান্ত ম্যাসি। নির্মাতা বিধু বিনোদ চোপড়া এক সাক্ষাৎকারে জানালেন সিনেমার আরও নানা তথ্য।

একপর্যায়ে বুঝতে পারলাম, সমস্যা হচ্ছে সেতারে। কারণ আমরা কাজ করছিলাম মডার্ন সেতারে। ৫০ বছর আগের সেতার খুঁজে বের করি। এরপর আবার পুরো ব্যাকগ্রাউন্ড নতুন করে বানানো হয়। এটা পথের পাঁচালী সিনেমাকে আমার ট্রিবিউট।’

নো মেকআপ
টুয়েলভথ ফেলে বিক্রান্ত ম্যাসির মেকআপের প্রশংসা করেছেন অনেকে। বিধু বিনোদ বলছেন, ‘বিক্রান্তের কোনো মেকআপই ছিল না। মনোজ চরিত্র করার জন্য এক বছর ধরে সে রিহার্সাল করেছে। তিন মাস আগে অন্য সব শুটিং বন্ধ করে দিয়েছে। শুটিংয়ের এক মাস আগে চলে গেছে লোকেশনে। সেখানে রোদে পুড়ে কালো হয়েছে। ফলে বিক্রান্তের যে চেহারা দেখা গেছে সিনেমায়, সেটা একেবারে আসল।’

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন