বগুড়ার শেরপুর উপজেলার শিব প্রসাদ। তিনি ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার শিকার। তখন পৈতৃক ভিটেমাটি থেকে সপরিবারে উচ্ছেদ হন। আইনি লড়াই শেষে ৭৪ বছর পর সেই ভিটেমাটি ফেরত পেয়েছেন তিনি। গত সোমবার ও গতকাল মঙ্গলবার তাঁকে সেই সম্পত্তি বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
শিব প্রসাদের বাড়ি উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের ভাটরা গ্রামে। তাঁর বাবা প্রয়াত মুক্তা রাম।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা বলেন, তখন ভারত ভাগ হলো। সৃষ্টি হলো ভারত-পাকিস্তান। দেশ ভাগের ওই সময় হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা লাগল। তখন তাঁদের বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়। ভিটেমাটি ও ফসলি জমিসহ ১৯ একর ১১ শতক সম্পত্তি দখল করে নেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরবর্তী সময়ে তা অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে তফসিল ভুক্ত হয়। এ অবস্থায় ২০১২ সালে বগুড়া জেলা জজ আদালতে জেলা প্রশাসককে বিবাদী করে ৩৬৭৪/১২ অর্পিত মোকদ্দমা দায়ের করেন শিব প্রসাদ সরদার। মামলাটি ২০১৩ সালে নিষ্পত্তি হয় এবং বাদী পক্ষ ডিক্রি পায়।
অবশেষে প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতের নির্দেশে গত সোমবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নেজারত শাখার প্রধান নাজির আহসান হাবিব ৫ একর ৮৭ শতক সম্পত্তির প্রকৃত মালিক শিব প্রসাদ সরদারকে বুঝিয়ে দেন। এ সম্পত্তির চারপাশে লাল সালু কাপড়ের নিশান উড়িয়ে দেওয়া হয়। বাকি সম্পত্তি গতকাল বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
পৈতৃক সম্পত্তি ফিরে পেয়ে শিব প্রসাদ সরদার বলেন, ‘পৈতৃক সম্পত্তি পেতে দীর্ঘদিন লড়াই করেছি আমি। তবে হাল ছাড়িনি। অবশেষে আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি। এতে আমি খুশি।’