সুন্দরবনে দস্যুতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা দস্যুদের ঈদ উপহার দিয়েছে র্যাব। গতকাল মঙ্গলবার বাগেরহাটের মোংলা ও সাতক্ষীরার শ্যামনগরে এই ঈদসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
মোংলার ফুয়েল জেটিসংলগ্ন এলাকায় গতকাল সকালে ২৮৪ জনের হাতে উপহারসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।
এ সময় র্যাব-৮-এর অধিনায়ক (ডিআইজি) জামিল হাসান বলেন, ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণার পর সেখানে এখন সুবাতাস বইছে। আত্মসমর্পণকারী জলদস্যুরা পুনর্বাসিত হয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন। তাঁদের ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন উৎসবে উপহারসহ খাদ্যসামগ্রী দিচ্ছে র্যাব। ঈদুল আজহা সামনে রেখে এবারও তাঁদের ঈদের খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়েছে।
ঈদসামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল, তেল, সেমাই, ঘি, চিনি, দুধ, লবণ, বাদাম, কিশমিশ, মসলা ও পেঁয়াজ। এ ছাড়া তাঁদের যাতায়াত ভাড়াও দেওয়া হয়।
শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে ৫৪ জন আত্মসমর্পণ করা বনদস্যুর মধ্যে ঈদ উপহার ও নগদ অর্থ তুলে দেন র্যাব-৮ বরিশালের লিগ্যাল অফিসার ও সহকারী পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম। তিনি বলেন, আত্মসমর্পণকারী জলদস্যুরা পুনর্বাসিত হয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন। সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের বিরুদ্ধে করা গুরুতর অপরাধের (হত্যা ও ধর্ষণ) মামলা ছাড়া অন্য সব সাধারণ মামলা সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া বনদস্যুদের দক্ষতা অনুযায়ী এবং ক্ষেত্রবিশেষে নতুন করে সরকারি বিভিন্ন প্রশিক্ষণকেন্দ্রের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে আর্থিক সহায়তাও অব্যাহত রাখা হয়েছে।
ঈদসামগ্রী পেয়ে সাবেক বনদস্যু অলিয়ার রহমান বলেন, র্যাবের কাছ থেকে ঈদ উপহার পেয়ে তাঁরা খুবই খুশি। বিভিন্ন উৎসব-পার্বণে তাঁদের পাশে থাকায় র্যাব সদস্যদের ধন্যবাদ জানান তিনি।