অজ্ঞাত ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তানোরে এক খামারির পাঁচ হাজারের বেশি মুরগি মরে গেছে। গত তিন-চার দিনে মরে যায় মুরগিগুলো।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি হলেন উপজেলার চাপড়া মিরাপাড়া গ্রামের রুস্তম আলী সরদার (৩৬)। গত বছর প্রায় ৬ লাখ টাকা খরচ করে ব্রয়লার মুরগির খামার দেন তিনি। খামারে চারজন কর্মচারী কাজ করেন। তাঁর খামারে দুটি শেডে প্রায় ৫ হাজার ৯০০ মুরগি ছিল। গত ৮ বুধবার রাতে হঠাৎ করে একটি শেডের শতাধিক মুরগি মরে যায়। পরদিন মৃত মুরগির সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়। মুরগি মরতে মরতে বেঁচে আছে মাত্র ছয় শর মতো।
রুস্তম আলী সরদার বলেন, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) থেকে ঋণ নিয়ে খামার করেছিলেন তিনি। ১০-১২ দিনের মধ্যে বড় মুরগিগুলো বিক্রি করা যেত। কিন্তু প্রায় সব মুরগি মরে গেছে। এতে ৯ লাখের বেশি টাকা ক্ষতি হয়েছে তাঁর। এনজিও পাবে ৬ লাখ টাকা। ফিডের দোকানে বাকি আছে সাড়ে ৫ লাখ টাকা। এখন ঋণ পরিশোধ করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. বেলাল হোসেন বলেন, মুরগির ভাইরাসের বিষয়টি তাঁদের অজানা। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেননি। উপজেলার মুরগির খামারগুলোতে সবসময় মনিটরিং করা হচ্ছে। খামারিদের পরামর্শ দেওয়া হয়। জীবিত, মৃত ও অসুস্থ মুরগি নিয়ে প্রাণিরোগ অনুসন্ধান কেন্দ্রে পরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে। এতে বোঝা যাবে কী রোগে মুরগি আক্রান্ত হচ্ছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বলা যাবে কী কারণে মুরগি মারা গেছে।