হরিণাকুণ্ডু (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ৩ নম্বর তাহেরহুদা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম ও সচিবের বিরুদ্ধে বয়স্ক ও বিধবা ভাতার কার্ড দিতে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
ভাতা দেওয়ার নামে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। আবার অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েও ভাতার আওতায় আনেননি বলে জানিয়েছেন কয়েকজন।
ইউপি সচিব এ ছাড়া জন্মনিবন্ধন ও নাগরিক সনদেও নির্ধারিত ফির বাইরে অতিরিক্ত অর্থ আদায়েরও অভিযোগ রয়েছে ওই চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে।
উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নে বয়স্ক ভাতার জন্য ৩ হাজার ৯১৭ এবং বিধবা বা স্বামী নিগৃহীতা ভাতার জন্য ২ হাজার ৫৮৭ জন আবেদন করেছেন। এর মধ্যে ওই ইউনিয়নে বয়স্ক ভাতার জন্য ৫৯৫ ও বিধবা ভাতার জন্য ৩১৭ জন আবেদন করেছেন।
অনলাইনে ভাতাভোগীদের উন্মুক্ত আবেদনের কথা বলা হলেও গ্রামের সহজ-সরল এসব মানুষ ছুটছেন ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে। ফলে সুযোগ বুঝে এসব অসহায় মানুষের কাছ থেকে ইউনিয়ন পরিষদের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী হাতিয়ে নিচ্ছেন টাকা।
তাহেরহুদা ইউনিয়নের পোলতাডাঙ্গা গ্রামের পাখি খাতুন জানান, অনলাইনে আবেদনের কিছুদিন পর চেয়ারম্যান তাঁকে পরিষদে ডেকে সচিবের কাছে পাঠান। পরে সচিব তাঁর কাছ থেকে ৫০০ টাকা নেন।
একই গ্রামের ফাতেমা খাতুন জানান, বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য হাঁস-মুরগি বিক্রি করে ৫০০ টাকা দিয়েছেন। আজও কার্ড পাননি।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সচিব আসাদুজ্জামান লিটন বলেন, ‘এসব মিথ্যা। ভাতাভোগী বাছাইয়ে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম বলেন, ‘টাকা নেওয়ার বিষয় পুরোপুরি মিথ্যা। সামনে নির্বাচন তাই প্রতিপক্ষরা তাঁর নামে মিথ্যা রটাচ্ছে।’
উপজেলা ভাতাভোগী বাছাই কমিটির সদস্যসচিব ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শিউলি রানী বলেন, ‘টাকা নেওয়ার বিষয়ে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’