অনাবৃষ্টি, সার-কীটনাশকের মূল্যবৃদ্ধি, ডিজেলের চড়া দাম ও শ্রমিক-সংকট কাটিয়ে আমনের ভালো ফলন হয়েছে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় নিরাপদে ধান ঘরে তুলছেন চাষিরা। অধিকাংশ জমিরই ধান কাটা প্রায় শেষ। এখন কষ্টের ফসল ঘরে তোলা বাকি।
চলতি মৌসুমে উপজেলায় আমন চাষ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। অন্যদিকে ধানের ফলন এবং খড়ের দামও ভালো হওয়ায় স্বস্তিতে উপজেলার চাষিরা।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে পাকুন্দিয়ায় ১০ হাজার ৩৯০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯০ হেক্টর বেশি। আমন চাষ পুরোপুরি বৃষ্টিনির্ভর। তবে এ বছর মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টিপাত তেমন একটা হয়নি। এতে কৃষকদের সেচনির্ভর হতে হয়েছে। তা ছাড়া সার, কীটনাশক ও ডিজেলের দামও কিছুটা বেশি ছিল। এ জন্য কৃষকেরা আমন চাষ নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন; পাশাপাশি কৃষি বিভাগও আমনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে কিছুটা সংশয় ছিল।
উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী, এবার হেক্টরপ্রতি গড়ে ৪ দশমিক ৩৫ টন ধান হয়েছে। সে হিসাবে প্রায় ৪৪ হাজার ৬৮০ টন ধান উৎপাদিত হচ্ছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি।
সৈয়দগাঁও গ্রামের কৃষক আবদুল কদ্দুছ বলেন, ‘আমি এ বছর দুই কানি জমিতে আমন আবাদ করেছি। এতে ২৬-২৭ মণ ধান পেয়েছি। ফলন এবং খড়ের দাম পেয়ে শঙ্কা কেটেছে।’
পাকুন্দিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুর-ই আলম বলেন, ‘মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টিপাত তেমন একটা হয়নি। এতে কৃষকদের বাড়তি খরচ লেগেছে সেচে। তবে প্রয়োজনের সময় বৃষ্টিপাত হওয়ায় ফলন ভালো হয়েছে। আশা করছি কৃষকেরা উৎপাদন খরচ মিটিয়ে লাভবান হবেন।’