মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি
রংপুরের মিঠাপুকুরে চার লেন মহাসড়কের ওভারপাস এলাকায় ফুটপাতের একাংশে ফাটল ধরেছে। নির্মাণের দুই মাসেই এ ফাটল দেখা দেওয়ায় বিস্মিত স্থানীয় বাসিন্দারা।
অভিযোগ রয়েছে, রড ব্যবহার না করেই ফুটপাতের ঢালাই দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে সড়কের পানিনিষ্কাশনের নালা নির্মাণ করা হয়নি। এতে সড়কের পাশে পানি ও ময়লা জমে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এ নিয়ে আগস্টে আজকের পত্রিকায় ‘রড ছাড়াই ফুটপাত ঢালাই, হচ্ছে না নালা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
সাউথ এশিয়ান সাব রিজওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক-২) প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে হাটিকুমরুল হয়ে রংপুরের মডার্ন পর্যন্ত ১৯০ কিলোমিটার সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। এ প্রকল্পের আওতায় মিঠাপুকুর উপজেলার সদর, শঠিবাড়ি হাট ও জায়গীরহাট বাসস্ট্যান্ডে ওভারপাস নির্মাণের কাজ হচ্ছে। কাজ করছে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
উপজেলা সদরের ওভারপাসের দুই পাশে লোকজনের চলাচলের জন্য ফুটপাত নির্মাণ করা হয়েছে। এতে রড ছাড়াই ঢালাই দেওয়া হয়েছে। এখন নির্মিত ফুটপাতের একাংশের শেষ মাথায় ফাটল ধরেছে।
উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আইনুল কবীর লিটন বলেন, ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মহাসড়কের ফুটপাত নির্মাণের দুই মাসেই ফাটল ধরার বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার।
ঠিকাদারি ব্যবসায় নিয়োজিত উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা রেজাউল কবীর টুটুল বলেন, ‘আগেও বলেছি, এখনো বলছি, রোলার দিয়ে মাটি ঠিক না করে নির্মিত ফুটপাত বেশি দিন টেকসই হবে বলে মনে হয় না।’
স্থানীয় ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান জানান, সড়ক ও ফুটপাতের সংযোগস্থলে পানি ও ময়লা জমে ভাগাড়ে পরিণত হচ্ছে। পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করলে পরিবেশ দূষিত হয়ে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়বে।
স্থানীয় বাসিন্দারা ফুটপাতের ফাটল রোধ ও ময়লা-আবর্জনা অপসারণে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
এ প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সাসেক-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী জাভেদ তালুকদার বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে রড ছাড়া ঢালাই দিয়ে ফুটপাত তৈরি করা হচ্ছে। সড়কের পানিনিষ্কাশনের জন্য পাইপ দেওয়া রয়েছে। এরপরও কোনো সমস্যা হলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।