Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

ঘরে জীবিত স্বামী, স্ত্রী নিচ্ছেন বিধবা ভাতা

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

ঘরে জীবিত স্বামী, স্ত্রী নিচ্ছেন বিধবা ভাতা

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জীবিত স্বামীকে মৃত দেখিয়ে বিধবা ভাতা ও গর্ভবতী না হয়েও মাতৃত্বকালীন ভাতা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুই ইউনিয়নের একাধিক নারীর বিরুদ্ধে। ইউনিয়ন দুটি হলো উপজেলার দেশীগ্রাম ও নওগাঁ ইউনিয়ন।

সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও সমাজসেবা অফিসের ইউনিয়ন সমাজকর্মীদের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা ভাতা উত্তোলন করে আসছেন বলে স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেছেন।

জানা গেছে, তাড়াশ উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের শিলংদহ গ্রামের আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী ধলী খাতুন, আব্দুস ছালামের স্ত্রী নাসিমা খাতুন, আব্দুল মজিদের স্ত্রী ফরিদা খাতুনসহ ওই ইউনিয়নের প্রায় ১০ জন নারী দীর্ঘদিন ধরে বিধবা ভাতা উত্তোলন করে আসছেন। অথচ এসব নারীর স্বামী জীবিত।

অপরদিকে নওগাঁ ইউনিয়নের চৌপাকিয়া গ্রামের মন্টু ফকিরের স্ত্রী শাপলা খাতুনের ছেলের বয়স ১৩ বছর। অথচ তিনি ১ বছরের সন্তান দেখিয়ে ইউপি সদস্য রমিছা খাতুনের সহযোগিতায় মাতৃত্বকালীন ভাতা তুলে নিচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে।

উপজেলা নওগাঁ ইউনিয়নের নারী ইউপি সদস্য রমিছা খাতুন স্বীকার করে বলেন, ‘এমন দুই-চারটা ভাতার বই না করলে, আমরা চলব কীভাবে। আমি মাত্র দুটি মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড ভুয়া করেছি। অনেকেই তো করে থাকে।’ এর মধ্যে উপজেলা মহিলাবিষয়ক অফিসে কিছু দিতে হয় বলেও জানান তিনি।

আর দেশীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক জানান, শিলংদহ গ্রামের ওই নারীদের স্বামীরা জীবিত। তাঁরা কৃষিকাজ করেন। কীভাবে সম্ভব জীবিত স্বামীকে মৃত দেখিয়ে বিধবা ভাতা নেওয়া।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ ইউনিয়ন সমাজকর্মীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা এসব ভাতার বই তৈরি করেন। এ ছাড়া আগে তাঁদের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে এসব অবৈধভাবে ভাতার কার্ড তৈরি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে।

দেশীগ্রাম ইউনিয়ন সমাজকর্মী শিখা রানী জানান, দেশীগ্রাম ইউনিয়নের ১০টির মতো বিধবা ভাতার কার্ড রয়েছে। তাঁদের স্বামী জীবিত থাকা সত্ত্বেও মৃত দেখিয়ে বিধবা ভাতা নিচ্ছেন।

তাড়াশ উপজেলা সমাজসেবা অফিসার কে এম মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা আমাদের অফিসে যেসব তথ্য দেন, তার ভিত্তিতে কাজ করা হয়। তবে এখন থেকে অনলাইন হচ্ছে। এমনিতেই সব বাতিল হয়ে যাবে। যেগুলো আমাদের নজরে আসছে, সেই বইগুলো বাতিল করা হচ্ছে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেজবাউল করিম বলেন, মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিধবা ভাতা ও মাতৃত্বকালীন ভাতা নেওয়া গুরুতর অপরাধ। যাঁরা অবৈধভাবে ভাতা নিচ্ছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ