Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

নানা সংকট, অসন্তোষ ও ক্ষোভ রোগীদের

সাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ 

নানা সংকট, অসন্তোষ ও ক্ষোভ রোগীদের

কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠা হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় ২০২০ সালের মার্চে। উদ্বোধনের পর থেকেই এখানকার সেবা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন রোগী ও স্বজনেরা। তাঁদের অভিযোগ, গুরুতর ও জটিল রোগে আক্রান্ত মানুষের হাসপাতালে আসতে নিরুৎসাহিত করা হয়। সময়মতো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পাওয়া যায় না।

রোগী ও স্বজনেরা আরও বলছেন, চিকিৎসকেরা রোগী ঠিকমতো না দেখেই অন্য প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে দেন। সেখানকার আউটসোর্সিং কর্মীরা পাশের ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেই চিকিৎসাসেবার ওপর ভিত্তি করে দেশের ২৫টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মধ্যে সম্প্রতি দশম স্থান অর্জন করেছে হাসপাতালটি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালে চিকিৎসকের পদ রয়েছে ১১৯টি। এর বিপরীতে কর্মরত ৮৫ জন। ৫০০ শয্যার এই হাসপাতালে চিকিৎসক প্রয়োজন কমপক্ষে ২০০ জন। এ ছাড়া ইন্টার্ন চিকিৎসক অপ্রতুল। অবৈতনিক চিকিৎসক তো নেই বললেই চলে। হাসপাতালের আউটসোর্সিংয়ে লোকবল দরকার কমপক্ষে ৪৫০ জন, তবে কর্মরত ১৫৫ জন। এদের বেশির ভাগ সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন না।

জানা গেছে, ২০২২ সালে হাসপাতালের বহির্বিভাগে ২ লাখ ৬৫ হাজার ২০৬ জন রোগী চিকিৎসাসেবা নেন। ২০২৩ সালে হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে ৩ লাখ ২৩ হাজার ১৮ জন চিকিৎসাসেবা নেন। ২০২২ সালে বহির্বিভাগে মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৭৬ হাজার ৫৫৬ জন। ২০২৩ সালে অন্তঃবিভাগে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ১৩ হাজার ৬৪৫ জনে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ডায়ালাইসিস করাতে জনপ্রতি ফি নেওয়া হয় ৪০০ টাকা। সব মিলিয়ে খরচ ১ হাজার ৬০০ টাকা। কম খরচ ও সেবার মান ভালো হওয়ায় প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালটিতে দুটি সেশনে ২৭ জন কিডনি রোগী সপ্তাহে দুই দিন ডায়ালাইসিস করতে পারেন। এদিকে অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকেন শতাধিক কিডনি রোগী। শতাধিক কিডনি রোগীর ডায়ালাইসিস করতে প্রয়োজন কমপক্ষে ৫০টি মেশিন। তবে মেশিন রয়েছে মাত্র ছয়টি। ফলে ডায়ালাইসিস করাতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হন শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসা কিডনি রোগীরা।

শহরের গাইটাল এলাকার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার পরিবারে একজন কিডনি রোগী আছে। তাঁর নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাতে হয়। সৈয়দ নজরুল মেডিকেলে ডায়ালাইসিস মেশিন কম থাকার কারণে আমার মতো শতাধিক পরিবারের লোকজন বাইরে থেকে বেশি খরচ দিয়ে ডায়ালাইসিস করাচ্ছি।’

সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এ এম ওবায়েদ অভিযোগ করে বলেন, সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়া অধিকাংশ রোগীর স্বজনদের মালপত্র চুরি হয়ে গেছে, যা এখানকার নিত্য ঘটনা।

সার্বিক বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘অপ্রতুল চিকিৎসক ও আউটসোর্সিং কর্মী নিয়ে আমরা সেবার মান বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি। অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলানোর জন্য হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডায়ালাইসিস মেশিন ও সহায়তা পেলে সব রোগীকে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।’ 

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ