দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অতিষ্ঠ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া এলাকাবাসী। তবে আগামী ১ মাসের মধ্যে ৩৩ কেবির লাইন চালু হলে এই সমস্যা সমাধান হওয়ায় আশ্বাস দিয়েছেন রামু বিদ্যুৎ অফিস।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ১ বছর ধরে নাইক্ষ্যংছড়ি, কচ্ছপিয়া ও গর্জনিয়াসহ আশপাশের এলাকায় প্রচুর বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে। বিজিবি ব্যাটালিয়ন জোন, উপজেলা প্রশাসন, শিক্ষার্থীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
রামু বিদ্যুৎ অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী বিদ্যুৎ হোসেন বলেন, বর্তমানে নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে গর্জনিয়া পর্যন্ত একটা ব্লক। এ অংশের যে কোনো স্থানে বিদ্যুতের পিলারে বা তারে গাছ, বাঁশ পড়লে পুরো এলাকার বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিতে হয়। গ্রাহকেরা তা বোঝেন না। কিন্তু সরকারের নির্দেশের বাইরে বিদ্যুৎ অফিস যেতে পারেন না।
নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হোসেন আহমদ জানান, বিদ্যুৎ নিয়ে মানুষের কষ্টের শেষ নেই। রাত নেই, দিন নেই লোডশেডিং হচ্ছে। নাইক্ষ্যংছড়ির মানুষ এ সব থেকে মুক্তি চায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা ফেরদৌস বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ির লোডশেডিংয়ের যে অবস্থা, তাতে মানুষ খুবই কষ্ট পাচ্ছে। একই আক্ষেপ করেন উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. শফিউল্লাহ ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন।
রামু বিদ্যুৎ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলী এম এম মঈনুল ইসলাম বলেন, তেত্রিশ কেবি লাইনে ও চাকঢালা বিদ্যুৎ লাইনে সংস্কার কাজ চলছে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় গর্জনিয়া মাঝিরকাটা গ্রামে বিদ্যুতায়নের কাজ চলছে। তাই বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে। তবে আগামী ১ মাসের মধ্যে সব কাজ শেষ হবে।
প্রকৌশলী এম এম মঈনুল ইসলাম জানান, নাইক্ষ্যংছড়ির বিছামারা এলাকায় সাব-স্টেশনটি ১ মাসের মধ্যেই চালু হচ্ছে। স্টেশনটি চালু হলে রামুর মহিষকূম-কাউয়ারখোপ, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর, কচ্ছপিয়া-গর্জনিয়া ও চাকঢালা অংশকে ৪ ব্লকে ভাগ করে নিবিড়ভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হবে। তখন যে ব্লকে সমস্যা হবে সেই ব্লকের বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবে শুধু। তখন মানুষ বর্তমানে মতো কষ্ট পাবে না।