Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

কোথায় পার্থক্য গড়েছে জিম্বাবুয়ে, তামিমের কাছেই শুনুন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কোথায় পার্থক্য গড়েছে জিম্বাবুয়ে, তামিমের কাছেই শুনুন

পাঁচ বছর পর ৮৪ বলে ৮০ রানের অপরাজিত এক ইনিংস খেললেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বড় সংগ্রহের সুযোগ নষ্ট হলেও ২৯০ রানের পুঁজি পেয়েছিল বাংলাদেশ। তাতে লড়াইয়ের সুযোগ থাকলেও ম্যাচের পুরো ছবি বদলে দিয়েছেন সিকান্দার রাজা ও রেগিস চাকাভার জোড়া সেঞ্চুরি। বাংলাদেশের নির্বিষ বোলিংয়ের বিপক্ষে আগের ম্যাচের মতো গতকালও দুই ব্যাটারের সেঞ্চুরিতে সিরিজ নিশ্চিত করে নিয়েছে জিম্বাবুয়ে। সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ এখন ধবলধোলাই এড়ানো।

সাম্প্রতিক সময়ে ওয়ানডে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে ব্যাপক শোরগোল হচ্ছে। ওয়াসিম আকরামের মতো কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা এই সংস্করণকে নির্বাসনে পাঠানোর কথা বলছিলেন। এই সব আলাপে অবশ্য বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমী ও ক্রিকেটাররা হয়তো একটু মনই খারাপ করেছিলেন। ওয়ানডেতে যে শক্তিশালী এক দল হিসেবেই যে আবির্ভূত হয়েছিল বাংলাদেশ। সাম্প্রতিক অতীতের সাফল্যও এর পক্ষে সাক্ষী দিচ্ছিল। তবে সেই আত্মবিশ্বাস এক মুহূর্তে টলে গেল র‍্যাঙ্কিংয়ের তলানির দল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ হেরে।

কদিন আগে টেস্ট ক্রিকেটের দর্শন বদলে দেওয়ার মন্ত্রে চমক দেখিয়েছিলেন পুনর্গঠিত ইংল্যান্ড দলের অধিনায়ক বেন স্টোকস ও কোচ ব্র্যান্ডন ম্যাককালাম। টেস্টেই যখন খেলার মেজাজ বদলে যাচ্ছে, তখন বাংলাদেশ দুই ওয়ানডে ম্যাচেই খেলেছে ‘ওল্ড স্কুল’ ক্রিকেটে। এক ম্যাচে তিনশোর্ধ্ব, আরেক ম্যাচে তিন শ’র কাছাকাছি রান করেছে তামিম ইকবালের দল। তবে উইকেট বিবেচনায় এই রান যে মোটেই যথেষ্ট নয় তা প্রমাণ করেছেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররা। ক্রিকেট বিশ্ব যখন সাড়ে ৩০০ কিংবা ৪০০ রানের লক্ষ্যে ওয়ানডে ক্রিকেট খেলছে, বাংলাদেশ সেখানে তিন শর আশপাশে থেকেই সন্তুষ্ট থাকছে। সঙ্গে আছে ইনিংস বড় করতে না পারার ব্যর্থতাও।

তামিম ইকবালপার্থক্যটা হচ্ছে তাদের ৪ সেঞ্চুরি, আমাদের ০। আমরা মোটামুটি একটা স্কোর করেছিলাম। আমরা খুব ভালো শুরু করেছিলাম। কিন্তু কেউই সেটাকে এগিয়ে নিতে পারেনি।
তামিম ইকবাল
অধিনায়ক, বাংলাদেশ

রান তাড়ায় জিম্বাবুয়ে যেখানে দুই ম্যাচে চার সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছে, সেখানে বাংলাদেশের নেই একটি সেঞ্চুরিও। দুই ম্যাচে একাধিক ব্যাটার থিতু হওয়ার পর উইকেট ছুড়ে দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন। এমনকি মাহমুদউল্লাহ রুখে না দাঁড়ালে তিন শর কাছাকাছি যাওয়াও কঠিন হতো বাংলাদেশের। অথচ শুরুটা ভালোই করেছিল তামিম-বিজয় জুটি। এনামুল হক বিজয় রানআউটে কাটা পড়েছেন, তামিম হাফ সেঞ্চুরিকে আর সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পারেননি। নাজমুল হোসেন শান্তও ফিরেছেন থিতু হয়ে। দারুণ কিছু করার আভাস দিয়ে মুশফিক কাটা পড়েছেন সেই পুরোনো স্লগ সুইপ খেলতে গিয়ে। অথচ আউট হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রত্যেকেই মোটামুটি স্বাচ্ছন্দ্যে খেলছিলেন। তবে সেটি ধরে রাখতে পারেননি তারা। ফলে দলের ইনিংসও আর বড় হয়নি।

দলের হারের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে অধিনায়ক তামিম ম্যাচ শেষে সেটিই বলেছেন, ‘পার্থক্যটা হচ্ছে তাদের ৪ সেঞ্চুরি, আমাদের ০। আমরা (গতকাল) মোটামুটি একটা স্কোর করেছিলাম। আমরা খুব ভালো শুরু করেছিলাম। কিন্তু কেউই সেটাকে এগিয়ে নিতে পারেনি। আমার মনে হয় উইকেট শুরু থেকে খুব ভালো ছিল। কিন্তু স্পিনারদের বিপক্ষে খেলাটা সহজ ছিল না। এই জয়ে সব কৃতিত্ব জিম্বাবুয়ের। তারা ভালো দল হিসেবে সিরিজ জিতেছে। আমরা আমাদের সেরা ক্রিকেটটা খেলতে পারেনি, যার কারণে আমরা এই অবস্থানে।’

এই সিরিজ দিয়ে বাংলাদেশের খেলোয়াড় সংকটের বিষয়টিও আরও প্রকট হলো। এক ব্যাটারের চোটে দুজনকে উড়িয়ে নেওয়া হলো। সুযোগ যদিও কেউই পাননি। তবে দলের পরিকল্পনা ও সমন্বয়হীনতাই যেন এতে ফুটে উঠেছে।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ