নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সার্চ কমিটির কাছে আওয়ামী লীগ যাঁদের নাম প্রস্তাব করেছিল, তাঁরা বাদ পড়লেও নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে ক্ষমতাসীন দলটি। গতকাল এক বিবৃতিতে দলের এমন মনোভাবের কথা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই কমিশনের অধীন আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।
নতুন ইসিকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দ্বাদশ নির্বাচনের আগেই সংবিধানের আলোকে আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। তারই ফলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন প্রণীত হয়েছে এবং আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি কমিশন গঠন করেছেন। আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত নাম বাদ পড়লেও সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠিত হওয়ায় আমরা সন্তুষ্ট।’
বিবৃতিতে কাদের আরও বলেন, ‘নতুন নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। আওয়ামী লীগ এই কমিশনকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছে এবং সব কার্যক্রমে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছে। এই কমিশনের অধীন আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে বলে প্রত্যাশা করি।’
রাজনৈতিক ফায়দার জন্য কমিশন নিয়ে অযৌক্তিক ও বিতর্কিত মন্তব্য করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি না করে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখতে সব রাজনৈতিক দলের প্রতি অনুরোধ জানান ওবায়দুল কাদের।
নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপির সমালোচনার জবাবে কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা বলছেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ে তাঁদের কোনো আগ্রহ নেই, তাঁরা এটি মানেন না। প্রকৃতপক্ষে বিএনপির প্রতি দেশের জনগণের কোনো আগ্রহ নেই এবং তারা সম্পূর্ণ জনবিচ্ছিন্ন ও হতাশাগ্রস্ত একটি রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের কারণে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে ভয় পায়। তাদের লক্ষ্য সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করা।