সন্দ্বীপ (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের কুমিরা-গুপ্তছড়া নৌপথের কুমিরা জেটির মাথা ভেঙে গেছে। দুই সপ্তাহ আগে বিআইডব্লিউটিএর ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণার পর গত বৃহস্পতিবার জেটির যে অংশ দিয়ে যাত্রীরা নিচে নেমে স্পিডবোট বা লালবোটে ওঠানামা করত, সেটি ভেঙে যাওয়ায় গতকাল শুক্রবার থেকে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার থেকে জেটির মাথায় যাত্রী ওঠানামা বন্ধ রাখা হয়েছে।
দুই সপ্তাহ আগে জেটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে বিআইডব্লিউটিএ সেখানে নোটিশ টানিয়ে দেয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে ভাটার সময় যাত্রীদের হাঁটুসমান কাদাপানিতে নেমে লালবোটে উঠতে হচ্ছে।
সোহেল নামের এক যাত্রী বলেন, গতকাল শুক্রবার সকালে সন্দ্বীপ থেকে স্পিডবোটে করে কুমিরা ঘাটে পৌঁছে তিনি ভোগান্তিতে পড়েন। তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে রোগী ছিল। মাঝের সিঁড়ি মাটি থেকে প্রায় ৪ ফুট ওপরে। তাই মাঝের সিঁড়ি দিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। পুরো পথ কাদাপানি হেঁটে আসতে হয়েছে।’
কুমিরা ঘাটে জাহাজের দুটি ট্রিপ বাতিল করা হয়। গতকাল জাহাজটি চারবার যাতায়াতের কথা থাকলেও দুইবার যাতায়াত করে।
এদিকে কুমিরা ঘাটের পরিচালক জগলুল হোসাইন নয়ন বলেন, কুমিরা জেটির যে অংশ ভেঙে গেছে সেটির বিকল্প হিসেবে প্রায় ১২০ ফুট লোহার সেতু জেলা পরিষদের ইজারাদারে উদ্যোগে নির্মাণের জন্য ঘাট ইজারাদার এস এম আনোয়ার হোসেন চেয়ারম্যানসহ আমরা গত বৃহস্পতিবার বিআইডব্লিউটিএর অফিসে গিয়ে আবেদন জানালে তা নাকচ করে দেয় বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। তারা আমাদের এ ধরনের উদ্যোগ বাতিল করে দেয়। ফলে যাত্রীদের ওঠানামার দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে ইজারাদারের পক্ষ থেকে প্লাস্টিকের ড্রাম দিয়ে জেটির মাথা পর্যন্ত ভাসমান ব্রিজ করা যায় কিনা আমরা চেষ্টা করছি।’
এদিকে গুপ্তছড়া ঘাটে জেটির মাথায় ভাটার সময় যাত্রীদের কাদা ও পানি এড়িয়ে সহজে ওঠানামা করার জন্য জেটির মাথায় জেলা পরিষদের ইজারাদারের উদ্যোগেও মার্চ মাসে কাঠের ব্রিজ নির্মাণ করে দেয়।
বিআইডব্লিউটিএর চট্টগ্রামের বন্দর ও পরিবহন বিভাগের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) নয়ন শীল বলেন, ‘কুমিরা জেটির ঝুঁকিপূর্ণ অংশ নিয়ে আমরা অবগত আছি। দ্রুত এর একটা ব্যবস্থা (মেরামত) করার জন্য ইতিমধ্যে আমরা কাজও শুরু করে দিয়েছি।’