হোম > ছাপা সংস্করণ

ইটভাটার মাটি পড়ে পাকা সড়কে কাদা

দেবাশীষ দত্ত, কুষ্টিয়া

শ্যালো ইঞ্জিনচালিত লাটাহাম্বা গাড়িতে (স্থানীয় নাম) ইটভাটায় নেওয়া হচ্ছে মাটি। গাড়ির ঢাকনা না থাকায় পাকা সড়কে পড়ছে মাটির স্তূপ। পরে অল্প বৃষ্টিতেই সড়কে কাদার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক চলাচল। বাড়ছে ঝুঁকি। এ ছাড়া অনেক সময় ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।

জনদুর্ভোগের এমন চিত্র কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি বাজার থেকে বাঁশগ্রাম বাজার পর্যন্ত প্রায় আট কিলোমিটার সড়কের। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকার কয়েক হাজার মানুষ ও যানবাহন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মহানগর জামে মসজিদ থেকে এইচ আর ইটভাটা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়ক এলাকায় তিনটি ইটভাটা রয়েছে। এসব ভাটায় লাটাহাম্বায় করে বিভিন্ন এলাকা থেকে মাটি আনা হয়। গাড়ি থেকে বিভিন্ন সময় মাটি পড়ে সড়কে স্তূপ জমে যায়। পরে বৃষ্টি হলেই সড়কের মধ্যে কাদা হয়ে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। তাঁদের দাবি, দীর্ঘদিন এমন দুর্ভোগ চললেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয় না।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়ক ঘেঁষে ফসলের মাঠজুড়ে এস এস বি-১, এস এ সবি-২ ও এইচ আর নামে তিনটি ভাটা। ভাটা এলাকার প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কে স্যাঁতসেঁতে কাদা। মানুষ অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে ধীরে চলাচল করছে। ইটভাটার শ্রমিকেরা কাদার ওপরে ইটের রাবিশ ফেলছেন। সড়কের পাশে একটি সিএনজি অকেজো থাকতে দেখা যায়। পরে জানা গেল, সড়কের কাদাপানি ঢুকে সিএনজির ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেছে। এ সময় সিএনজিচালক সেলিম শেখ জানান, সড়কে স্যাঁতসেঁতে কাদা আর পানি জমে আছে। পানি ঢুকে গাড়ির প্লাগ নষ্ট হয়ে আর চলছে না।

বাঁশগ্রাম আলাউদ্দিন আহমেদ ডিগ্রি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র সোহাগ হোসেন বলেন, ঢাকনাবিহীন অবৈধ যানবাহনে ভাটার মাটি টানা হয়। সেই মাটি সড়কে পড়ছে। ভোররাতের বৃষ্টিতে কাদা জমেছে। সকাল থেকে অনেক মোটরসাইকেল পিছলে পড়ে গেছে। মানুষের চলাচলে খুব কষ্ট হচ্ছে।

এস এস বি ইটভাটার শ্রমিক তাসকিন জানান, ভাটার মাটির জন্য সড়কে কাদা সৃষ্টি হয়েছে। দুর্ঘটনা ঘটছে। সে জন্য রাবিশ দিয়ে সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রাশিদুজ্জামান তুষার বলেন, পান্টি, চাঁদপুর ও বাগুলাট ইউনিয়ন এবং পার্শ্ববর্তী ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার একাংশসহ প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার মানুষ ওই সড়ক দিয়ে কুষ্টিয়া শহরে চলাচল করে। কিন্তু প্রতিবছর ভাটার কারণে সড়কে কাদা জমে স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হয়। আজকে (বৃহস্পতিবার) সকাল থেকেও বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনার খবর শুনেছেন তিনি। তিনি বলেন, জনদুর্ভোগের বিষয়টি তিনি ইউএনওকে জানিয়েছেন।

জনদুর্ভোগের কথা স্বীকার করে এস এস বি নামের ওই দুই ভাটার মালিক নাজিম উদ্দিন জানান, মাটি টানা গাড়িতে ঢাকনা ব্যবহার না করায় সড়কে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। দুর্ভোগ কমাতে রাবিশ ফেলা হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে ঢাকনা ব্যবহার করা হবে।

আর এইচ আর ইটভাটার ম্যানেজার জহির উদ্দিন বলেন, ‘আমার ভাটা এলাকার সড়ক পানি ঢেলে পরিষ্কার করা হয়েছে। এখন আর ভোগান্তি নেই।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহবুবুল হক জানান, জনদুর্ভোগ ও দুর্ঘটনা নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন