নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিরানব্বই বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করলেন উপমহাদেশের বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী লতা মঙ্গেশকর। সুরের মূর্ছনায় মাতিয়ে রাখা এই বরেণ্য গায়িকার জীবন ছিল বর্ণাঢ্য। তিনি যেমন সুর নিয়ে খেলতে পছন্দ করতেন, তেমনি তাঁর পছন্দ ছিল খাওয়াদাওয়া। খেতে ভালোবাসতেন, খাওয়াতেও ভালোবাসতেন তিনি।
লতা মঙ্গেশকর এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তাঁর সকাল শুরু হয় সকাল ৬টায় উঠে এক গ্লাস পানি পানের মধ্য দিয়ে। চা বা কফির সঙ্গে বিস্কুট ছিল তাঁর প্রিয় খাবার। আচারও খেতেন। ঝাল মসলা, বিশেষ করে মরিচের প্রতি তাঁর দুর্বলতা ছিল অপরিসীম। তবে বয়স হওয়ার পর কম ঝাল দেওয়া খাবার খেতেন।
লতা তাঁর ছোট বোন আশা ভোঁসলের হাতের রান্না খুব পছন্দ করতেন। আশা নিজেই জানিয়েছেন, লতা নাকি বলতেন তাঁর মতো কেউ রান্না করতে পারে না। মাঝে মাঝেই তিনি শামি কাবাব বানাতে বলতেন। ধনেপাতা দিয়ে খাসির মাংসের তরকারি বা মাটন করিয়ান্ডার তাঁর প্রিয় ছিল। খড়ির চুলায় রান্না করা খাবার তাঁর খুব পছন্দের ছিল। কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন, খড়ির চুলায় রান্না খুব ভালো হয়।
গলা ভালো রাখতে ঠান্ডা পানি একদমই খেতেন না লতা মঙ্গেশকর। দই ও টক খাবারও এড়িয়ে চলতেন।
লতার বাবা ছিলেন গোয়ার বাসিন্দা। সেই সূত্রে সামুদ্রিক খাবারও তাঁর খুব প্রিয় ছিল। সবজি খাবারের প্রতি তিনি কোনো বাছবিচার করতেন না। লুচির সঙ্গে সবজি ও ডাল খেতে পছন্দ করতেন লতা মঙ্গেশকর। ভালোবাসতেন বেশি করে জাফরান দেওয়া গাজরের হালুয়া খেতে। হালুয়ার সঙ্গে দুধ ও বাদাম পছন্দ ছিল তাঁর।
রেকর্ডিংয়ের আগে লতা মঙ্গেশকরের খাবারের রুটিন পাল্টে যেত; বিশেষ করে কনসার্টের আগে তিনি অনেক বেশি খেতেন। সঙ্গে রাখতেন পানি ও মধু। ফলের মধ্যে তাঁর পছন্দ ছিল আম। বলিউডের বিখ্যাত পরিচালক প্রয়াত যশ চোপড়ার বাড়ির খাবার তাঁর কাছে বেশ আকর্ষণীয় ছিল। সেখানে মোগলাই খাবার খেতে খেতে জমিয়ে আড্ডা দিতেন তাঁরা।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া