Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

প্রকল্প ফাইলবন্দী ৬ বছর

রেজা মাহমুদ, সৈয়দপুর (নীলফামারী)

প্রকল্প ফাইলবন্দী ৬ বছর

নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেলওয়ে মেডিকেল কলেজ স্থাপনের প্রকল্প ছয় বছর ধরে ফাইলবন্দী। পরিপত্র জারির মধ্যেই থমকে আছে এর কার্যক্রম। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় লোকজন।

প্রকল্প কমিটির সদস্য ও রেলওয়ে বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা (পাকশি) নুরুজ্জামান মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কমিটি গঠনের প্রায় সাড়ে ছয় বছরে মাত্র একটি সভা হয়েছে। কিন্তু কমিটির করণীয় সুপারিশ সম্পর্কে পরবর্তীকালে আলাদা কোনো চিঠি দেওয়া হয়নি। ফলে প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পর্কে অন্ধকারে আমরা কমিটির সদস্যরা।’

তবে প্রকল্প কমিটির আরেক সদস্য রেলওয়ে বিভাগীয় চিকিৎসা কর্মকর্তা আনিছুর রহমান জানান, ইতিমধ্যে কনসালট্যান্ট নিয়োগ করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, খুব শিগগির প্রাথমিকভাবে সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতালে মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম শুরু হবে।

জানা গেছে, ২০১২ সালের ২২ জানুয়ারি তৎকালীন রেলপথমন্ত্রী প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শনে এসে ঘোষণা দেন সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতালকে মেডিকেল কলেজ করা হবে। এরপর ২০১৭ সালের এপ্রিলে রেলওয়ে মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভায় সারা দেশে রেলওয়ের অব্যবহৃত জমি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারে বিভিন্ন প্রকল্প গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়। লোকসানে থাকা রেলওয়ের অব্যবহৃত জমিতে হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট, তারকা হোটেল ও শপিং মল প্রতিষ্ঠায় প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। রেলওয়ে উন্নয়ন কর্মসূচিতে তালিকাভুক্ত এসব প্রকল্প পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় বাস্তবায়নের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই প্রকল্পের আলোকেই সৈয়দপুরে একটি রেলওয়ে মেডিকেল কলেজ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পরে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন সৈয়দপুরে রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শনে এসে রেলওয়ে মেডিকেল কলেজ দ্রুত বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন। এর এক বছর পর ২০১৮ সালের ১৬ আগস্ট রেলওয়ে মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠাকল্পে রেলওয়ের মহাপরিচালকের দপ্তর থেকে পরিপত্র জারি করা হয়। রেলওয়ে মহাপরিচালক দপ্তরের উপপরিচালক প্রকৌশলী মো. সেলিম রউফ স্বাক্ষরিত পরিপত্রে গঠন করা হয় চার সদস্যবিশিষ্ট প্রকল্প কমিটি। প্রকল্প পরিচালক হিসেবে কমিটির প্রধান করা হয় রেল ভবনের পরিচালক প্রকৌশলীকে। প্রকল্পের ফোকাল পয়েন্টের দায়িত্ব পান সৈয়দপুর রেলওয়ে বিভাগীয় কর্মকর্তা (কারখানা)। সদস্য করা হয় সৈয়দপুর বিভাগীয় চিকিৎসা কর্মকর্তা ও পাকশি বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তাকে।

পরিপত্রে আরও বলা হয়, পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতালকে রেলওয়ে মেডিকেল কলেজে উন্নীত করাসহ ২৫০ শয্যার একটি হাসপাতাল করা হবে। পিপিপির আওতায় ৫০ আসনের এ মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠাকল্পে বেসরকারি বিনিয়োগের সম্ভাব্য অর্থ বরাদ্দ ধরা হয় ৬০ কোটি টাকা। এর বাদবাকি ব্যয়ের অর্থায়ন করবে রেলওয়ে। পরিপত্রে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে দ্রুত কার্যক্রম গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয় প্রকল্প কমিটিকে, যা কমিটির সদস্যদের চিঠির মাধ্যমে অবহিত করা হয়।

বাংলাদেশ রেলওয়ে কারিগরি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাবিবর রহমান হাবিব বলেন, মন্ত্রীরা এসে রেলওয়ে মেডিকেল কলেজ করার শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান; কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না।

সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং রেলওয়ে শ্রমিক লীগ (কারখানা) শাখার সম্পাদক মোখছেদুল মোমিন বলেন, রেলওয়ে শ্রমিক-কর্মচারীদের দাবি আমলে নিয়ে রেলওয়ে মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা প্রকল্পে সরকার অনুমোদন দিয়েছে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করে প্রকল্প বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান তিনি।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ