Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

আবারও জামালেই আস্থা

আবারও জামালেই আস্থা

দীর্ঘ ২০ বছর পর ঝিকরগাছা পৌরসভা নির্বাচনে পুনরায় মেয়র হিসেবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামালকেই বেছে নিয়েছেন পৌরবাসী।

গতকাল রোববার কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শেষ হয় উৎসবমুখর ভোট।

পুনরায় নির্বাচিত মেয়র মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। তাঁকে নির্বাচিত করতে উপজেলা আওয়ামী লীগ দ্বিধা-বিভক্তি ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেন।

প্রাপ্ত ভোটের ফলাফলে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামাল পেয়েছেন ৭ হাজার ৩৭৫। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইমরান হাসান সামাদ নিপুণ পেয়েছেন ৬ হাজার ১২৬।

২০০১ সালে ঝিকরগাছা পৌরসভার প্রথম নির্বাচন হয়। সে নির্বাচনে মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামাল মেয়র (সে সময় চেয়ারম্যান) নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর পর সীমানা সংক্রান্ত মামলা জটিলতায় নির্বাচন বন্ধ হয়ে যায়।

বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন দলের উপজেলা শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক ইমরান হাসান সামাদ নিপুণ। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ছিলেন উপজেলা কমিটির সাবেক সমাজ কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক এ কে এম আমানুল কাদির টুল্লু, উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ছেলিমুল হক সালাম ও যুবলীগ কর্মী ইমতিয়াজ আহমেদ শিপন।

২০ বছর পর ভোট উৎসব: দীর্ঘ ২০ বছর পর নির্বাচন আসায় শঙ্কা-ভীতি কাটিয়ে ভোটের উৎসবে মেতেছেন ঝিকরগাছা পৌরবাসী। উৎসব মুখর পরিবেশে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়।

এ দিন পর্যাপ্ত নিরাপত্তার চাঁদরে ঢাকা ছিল পুরো পৌর এলাকা। দীর্ঘ দেড় যুগেরও বেশি সময় পরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় ভোটারদের মধ্যে ছিল ব্যাপক উদ্দীপনা। সকাল ৮টা বাজার আগেই ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। লাইনে পুরুষ ভোটারদের চেয়ে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কিছু কিছু জায়গায় বিড়ম্বনার শিকার হন ভোটারেরা।

সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঝিকরগাছা সম্মিলনী মহিলা কলেজ কেন্দ্রে মহিলা ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। ঝিকরগাছা মহিলা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে ভোট প্রদানকারী ফেরদৌসী খাতুন বলেন, ‘দুই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ভোট দিতে পেরেছি৷ ইভিএমে ভোট দিতে পেরে দারুণ খুশি।’

ঝিকরগাছা এইচএস মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন সত্তর বছরের বৃদ্ধ সুলতান আহমেদ। তিনি বলেন, ‘এ বয়সে মেশিনে ভোট দিলাম।’

একই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ইমরান আল ফাহাদ বলেন, ‘১০ থেকে ১২ জনের আঙুলের ছাপ না মেলায় সকালে তাঁরা ভোট দিতে পারেননি। তবে তাঁদের আবার বিকেলে আসতে বলা হয়েছে।’

পুরন্দরপুর কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সাকিরুদ্দিন বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এই কেন্দ্রে নারীদের দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়।’

ভোটের পরিবেশের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ইমরান হাসান সামাদ নিপুন বলেন, ‘অত্যান্ত সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ