Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

বিমানের ক্যাটারিংয়ে দুই নারীর যৌন হয়রানির অভিযোগ

ইমন রহমান, ঢাকা

বিমানের ক্যাটারিংয়ে দুই নারীর যৌন হয়রানির অভিযোগ

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের নারী প্রশিক্ষণার্থী থেকে শুরু করে নারী কর্মীরা বিভিন্ন সময় যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ভুক্তভোগী অনেকেই ঘটনা চেপে যান। কিন্তু যাঁরা সাহস করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করছেন, তাঁরাও বিচার পাচ্ছেন না। ফলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভুক্তভোগী নারীরা। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্রমতে, বিমান ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টারের (বিএফসিসি) এক নারী প্রশিক্ষণার্থী এবং বেকারি ইউনিটের এক নারী কর্মী সম্প্রতি যৌন হয়রানির শিকার হন। তাঁরা এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালক গ্রাহকসেবা মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরীর কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন বিএফসিসির ফুড সেফটি অ্যান্ড হাইজিন ম্যানেজার ও কুকিং কোর্সের প্রশিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম এবং নিরাপত্তা সুপারভাইজার মো. মামুন। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালক গ্রাহকসেবা মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরীকে ফোন করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে মহাব্যবস্থাপক গ্রাহকসেবা মো. মনিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি অভিযোগের বিষয়টি শুনেছি, তবে বিস্তারিত বলতে পারছি না। এ বিষয়ে পরিচালক গ্রাহকসেবা বিস্তারিত বলতে পারবেন।’

জানা যায়, বিমানের কুকিং কোর্সের ১৬তম ব্যাচের এক প্রশিক্ষণার্থী অভিযোগে উল্লেখ করেন, বিএফসিসির ফুড সেফটি অ্যান্ড হাইজিন ম্যানেজার মো. রফিকুল ইসলাম অনেক দিন ধরে তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেন। তাঁকে কুকিংয়ের ওপর বিএফসিসির ছাপানো একটি বই দেওয়ার কথা বলে একদিন অফিসেও ডেকে নিয়ে যান। অফিসে বই আনতে গেলে তাঁকে যৌন হয়রানির চেষ্টা করেন। পরে রফিকুল ইসলাম ওই প্রশিক্ষণার্থীর কাছে ক্ষমা চেয়ে তাঁকে বসুন্ধরা এলাকায় বোনের বাসায় নামিয়ে দেওয়ার কথা বলে ৩০০ ফুট সড়ক এলাকায় নিয়ে যান। সেখানে গাড়ির ভেতর ধর্ষণ করার চেষ্টা করেন। 

ওই প্রশিক্ষণার্থী অভিযোগে বলেন, ছেলে বিদেশে থাকায় তিনি বিষণ্নতায় ভুগছিলেন। সেই সুযোগ নেন রফিকুল ইসলাম। এ ছাড়া পরীক্ষায় অকৃতকার্য করিয়ে দেওয়া হয় কি না, সেই ভয়ে রফিকুল ইসলামের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ অব্যাহত ছিল। এরই মধ্যে রফিকুল ইসলাম ও তাঁর মধ্যকার কথোপকথনের অডিও রেকর্ড তাঁর স্বামীর কাছে পাঠান বিএফসিসির আরেক কর্মী, যাকে তিনি চেনেন না। ওই ঘটনার পর তাঁর স্বামী তাঁকে ডিভোর্স দেবেন বলে জানিয়ে দেন। 
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এসব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’ অভিযোগকারীকে চেনেন কি না—জনতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সে আমার শিক্ষার্থী ছিল। গত বছরই তার কোর্স শেষ হয়েছে।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই অভিযোগের ঘটনায় এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বিমান কর্তৃপক্ষ।

বিএফসিসির বেকারি ইউনিটের এক নারী কর্মীর অভিযোগ, নিরাপত্তা সুপারভাইজার মো. মামুন তাঁকে যৌন হয়রানি করেন। এ বিষয়ে গত ২০ মে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালক গ্রাহকসেবার কাছে তিনি লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু পরিচালক এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তিনি গত ২৫ ও ২৭ জুলাই পরিচালকের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরে পরিচালক বরাবর আরেক দফা অভিযোগ করেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমি গত এক মাস নয় দিন ধরে অভিযোগের বিষয়ে বিএফসিসি কর্তৃপক্ষ থেকে কোনো সুরাহা পাইনি। বরং অভিযোগ করার কারণে নিজে হেয়প্রতিপন্ন হয়েছি এবং নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত বোধ করছি। অভিযুক্ত মামুন গত ২৫ জুলাই আমার বাসায় গিয়ে পরিবারের সদস্যদের হেনস্তা করেছেন, এ সময় আমি বাসায় ছিলাম না। তাঁকে নিষেধ করার পরও রাত ১০টা পর্যন্ত আমার বাসায় অবস্থান করেন অভিযুক্ত মামুন। বিষয়টি নিয়ে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নারী কর্মীদের যৌন হয়রানির ঘটনা আগেও ঘটেছে। কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করলেও কোনো বিচার হয় না। 

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ