হোম > ছাপা সংস্করণ

দুই কমিটিই অবৈধ ঘোষণা

খান রফিক, বরিশাল

বরিশাল নগরীর রূপাতলী বাস টার্মিনাল কেন্দ্রিক পরিবহন শ্রমিক সংগঠন জেলা-বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের পাল্টাপাল্টি দুটি কমিটিই অবৈধ ঘোষণা করেছে শ্রম আদালত। এর মধ্যে সভাপতি পরিমল চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার বাবুকে শ্রমিক সংগঠন কার্যালয়ে প্রবেশাধিকারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। তাঁরা বরিশাল সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর অনুসারী।

অবৈধ ঘোষিত অপর কমিটির সভাপতি সুলতান আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম টিটু। সুলতান ২০১৭ সাল থেকে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সুলতান-টিটু জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমের অনুসারী। আদালতের এ রায়ের মাধ্যমে প্রতিমন্ত্রী অনুসারী নেতারা টার্মিনালে বৈধতা পেল।

শ্রমিকদের তথ্য মতে, লাখ লাখ টাকার চাঁদার ভাগ–বাঁটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দের জেরে রুপাতলী বাস টার্মিনাল দখলের জন্য দুই পক্ষই মরিয়া হয়ে উঠে।

জানা গেছে, রুপাতলী বাস টার্মিনালের দখল নিয়ে গত রমজান মাসে দুই কমিটির মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষ হয়। দফায় দফায় হামলা ও শ্রমিক সংগঠন কার্যালয় ভাঙচুরের মাধ্যমে সুলতান মোল্লা ও টিটুকে হটিয়ে দেয় সিটি মেয়রের সমর্থকেরা। এরপর থেকে পরিমল চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার বাবুর নেতৃত্বাধীন কমিটি রূপাতলী বাস টার্মিনাল নিয়ন্ত্রণ করছেন।

বরিশাল শ্রম আদালতের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, গত বুধবার বরিশাল শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান (জেলা ও দায়রা জজ) শাহনাজ সুলতান দুটি কমিটিকে অবৈধ ঘোষণা এবং পরিমল চন্দ্র দাস ও শাহরিয়ার বাবুকে শ্রমিক সংগঠন কার্যালয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। কমিটি নিয়ে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আদালত ২০১৭-২০২০ সালের কমিটিকে শ্রমিক সংগঠন পরিচালনার নির্দেশ দেন।

বাতিল হওয়া কমিটির একাংশের সভাপতি সুলতান মোল্লা জানান, ২০১৭-২০২০ সালের কমিটিতে সবুর খান সভাপতি ও তিনি (সুলতান) সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী এখন তাঁরাই শ্রমিক সংগঠনের বৈধ প্রতিনিধি। অথচ গত কয়েক মাসে মামলা, হামলা করে বাস শ্রমিক নয় এমন লোকেরা মেয়রের আশ্রয়ে বাস টার্মিনাল নিয়ন্ত্রণে নিতে চেয়েছিল। এতে শ্রমিকেরা অধিকার বঞ্চিত হয়েছেন।

মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সেলিনা আক্তার ও কামরুজ্জামান জামাল জানান, জেলা-বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নে সভাপতি সুলতান আহমেদকে সভাপতি ও শহিদুল ইসলাম টিটুকে সাধারণ সম্পাদক এবং পরিমল চন্দ্র দাসকে সভাপতি ও শাহরিয়ার বাবুকে সাধারণ সম্পাদক করে দুটি কমিটি গঠন করা হয়। দুটি কমিটিই অবৈধ দাবি করে গত বছর ২৫ অক্টোবর শ্রম আদালতে মামলা করেন জামাল হোসেন নামক এক শ্রমিক। আদালতের পর্যালোচনায় উল্লেখ করা হয়েছে, একাংশের কমিটির সভাপতি পরিমল চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার বাবু শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য নন। যে কারণে মেয়র অনুসারীদের কমিটি বৈধ নয়।

আদালতের এ রায়ের বিষয়ে একাংশের সভাপতি পরিমল চন্দ্র দাস সাংবাদিকদের জানান, তাঁরাও আদালতের আদেশের কপি পেয়েছেন। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সদস্য না হলেও কমিটির অন্যরা ইউনিয়নের সদস্য। প্রয়োজনে তাঁরা শ্রম আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাবেন।

এ দিকে বাস টার্মিনালের নেতৃত্ব নিয়ে সৃষ্টি জটিলতার পর গতকাল শনিবার ঘুরে দেখা গেছে, ‘টার্মিনালে কোনো পক্ষই নেই। যদিও গত রমজান মাসে বাস টার্মিনাল দখল নিয়ে দফায় দফায় সংঘাত বাধে মেয়র ও প্রতিমন্ত্রী অনুসারীদের মধ্যে। টার্মিনালের লাখ লাখ টাকা চাঁদার দখল নিয়েই এ সংঘাত বলে শ্রমিকেরা জানিয়েছেন।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন