ক্রীড়া ডেস্ক
গ্র্যান্ড স্লামে প্রথম দুটি ফাইনালে ব্যর্থ হয়েছেন। তৃতীয় ফাইনালে এবার ব্যর্থ হতে চান না ওনস জাবির। আজ ফাইনাল জিতেই উইম্বলডনের নতুন রানি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চান তিউনিসিয়ান মেয়ে।
ওনস জাবিরের এই ‘চাওয়া’র পেছনে অনেক অনুপ্রেরণা। শুধু প্রথমবারের মতো গ্র্যান্ড স্লামই জিতবেন না, হবেন উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন আফ্রিকা ও আরব বিশ্বের প্রথম নারীও। গত বছর ফ্রেঞ্চ ওপেন ও উইম্বলডনের ফাইনালে উঠেও যেটা পারেননি, এবার সেটা করতে চান জাবির।
বাজিকরদের বাজির দর কিংবা কাগজে-কলমে তিনিই ফেবারিট। ডব্লুটিএ র্যাঙ্কিংয়ে জাবিরের অবস্থান ৬, ভন্দ্রোসভার ৪২। পেশাদার সার্কিটে জাবিরের শিরোপা ৪টি। ভন্দ্রোসভার ১টি। তবে এই এগিয়ে থাকাটাকে ফাইনালের আগে গুরুত্ব দিচ্ছেন না ফাইনাল জিততে মরিয়া জাবির, ‘আমার কাছে তো ফাইনাল তো ফাইনালই। আপনি কার সঙ্গে খেলছেন, সেটা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সে গ্র্যান্ড স্লাম চ্যাম্পিয়ন হোক বা না হোক, কঠিন একটা ম্যাচই হতে যাচ্ছে।’
সেই ‘কঠিন’ ফাইনালের আগে বন্ধুর একটা পথই পাড়ি দিতে হয়েছে জাবিরকে। শেষ ষোলোয় তিনি হারিয়েছেন নবম বাছাই পেত্রা কেভিতোভাকে। কোয়ার্টার ও সেমিফাইনালে হারিয়েছেন তৃতীয় ও দ্বিতীয় বাছাই এলিনা রাইবাকিনা ও আরিনা সাবালেঙ্কাকে। ২০১২ সালে সেরেনা উইলিয়ামসের পর এই প্রথম র্যাঙ্কিংয়ের সেরা দশের তিন প্রতিযোগীকে হারালেন জাবির। কঠিন এই পথের শেষটায় আরেকটি জয় কেন নয়!
কিন্তু প্রতিপক্ষ ভন্দ্রোসভাও তার স্বপ্নীল পথচলার শেষটা রাঙাতে চান শিরোপা দিয়েই। ২০১৯ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালে ভন্দ্রোসভা উঠেছিলেন বটে, কিন্তু সে ফাইনালে ওঠাটাকে ‘ফ্লুক’ প্রমাণিত করে পরের ১১টি গ্র্যান্ড স্লামের একটিতে চতুর্থ রাউন্ডের বাধা পেরোতে পারেননি। কিন্তু ঘাসের কোর্টের গ্র্যান্ড স্লামে ২৪ বছর বয়সী চেক এই প্রতিযোগী নিজের জাত চিনিয়েই ফাইনালে উঠেছেন। আর ফাইনালে প্রতিপক্ষ যখন জাবির, তখন আশাবাদী হতেই পারেন ভন্দ্রোসভা। দুজনের ৬ সাক্ষাতে জয়-পরাজয়ের পাল্লাটা সমান হলেও মুখোমুখি লড়াই থেকে ভন্দ্রোসভার আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠার জায়গা এই, এ বছর দুই সাক্ষাতের দুটিতেই তিনি হারিয়েছেন প্রতিপক্ষকে।
ফাইনালে কে জিতবেন, সেটি সময়ই বলবে, আপাতত নিশ্চিত ব্যাপার এই—নতুন রানি পাচ্ছে উইম্বলডন।