নওগাঁর নিয়ামতপুরে যৌতুকের টাকা না পেয়ে এক মাস ধরে এক গৃহবধূকে ঘরছাড়া করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ তাঁর স্বামী শহিদুল ইসলাম (৩০), ননদ দুলি বেগম ও তাঁর স্বামী আজিমুদ্দিন মণ্ডলের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ওই গৃহবধূর নাম রাবেয়া খাতুন (২৬)। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিজলী গ্রামের গোলাম নবীর মেয়ে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সাত বছর আগে রাবেয়া খাতুনের সঙ্গে মান্দা উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে নানাভাবে তাঁকে যৌতুকের জন্য চাপ দেওয়া হয়। বিভিন্ন সময়ে শহিদুলকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। পরে আবারও ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করেন তাঁরা। টাকা দিতে অপারগতা জানালে মারধর করে রাবেয়াকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। সোয়াইব ইসলাম (৭) নামের তাঁদের একটি ছেলেসন্তান রয়েছে।
রাবেয়া খাতুন বলেন, বিয়ের পর থেকেই তাঁকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করা হতো। যৌতুকের জন্য চাপ দিলে ১ লাখ ৭০ টাকা দেয় তাঁর পরিবার। তাঁকে বিভিন্ন কারণে সন্দেহের চোখে দেখে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করা হতো। এখন নতুন করে তাঁর ননদ ও ননদের স্বামীর প্ররোচনায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাঁকে মারধর করেন শহিদুল। সেই সঙ্গে তালাক দেওয়ার হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন। বের করে দেওয়ার সময় বাবার বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে ফিরে আসতে বলেন শহিদুল।
রাবেয়া খাতুনের বাবা গোলাম নবী বলেন, ‘আমি টেইলার্সের দোকানে কাজ করি। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা জামাইকে দিয়েছি। কিছুদিন পরপর আবার টাকা চায় সে। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আমার মেয়েকে মেরে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।’
রাবেয়া খাতুনের স্বামী শহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর মোবাইল ফোন রিসিভ করেন তাঁর ভাগনে জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, তাঁর মামা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি রয়েছেন।
এ বিষয়ে নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির আজকের পত্রিকাকেবলেন, যৌতুকের টাকা না পেয়ে গৃহবধূকে ঘরছাড়া করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।