নওগাঁয় জাতভেদে গাছ থেকে আম সংগ্রহের তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। চলতি মাসের ২৫ তারিখ থেকে এ জেলায় আম সংগ্রহ শুরু হবে। ওই দিন থেকে কেবল গুটি জাতের আম সংগ্রহ করা যাবে। নিরাপদ, বিষমুক্ত ও পরিপক্ব আম বাজারজাত নিশ্চিতে স্থানীয় আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তবে আবহাওয়া, তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাতসহ বিশেষ কারণে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে আগে আম পাড়া যাবে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।
জানা গেছে, ২৫ মে থেকে গুটি জাতের আম সংগ্রহ করা যাবে। উন্নত জাতের আমের মধ্যে গোপালভোগ ৩০ মে ও ক্ষীরশাপাতি বা হিমসাগর ৫ জুন থেকে সংগ্রহ করা যাবে। এ ছাড়া নাগ ফজলি ৮ জুন, ল্যাংড়া ও হাঁড়িভাঙা ১২ জুন, ফজলি আম ২২ জুন ও আম্রপালি ২৫ জুন থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন চাষিরা। সর্বশেষ ১০ জুলাই থেকে সংগ্রহ যাবে আশ্বিনা, বারী -৪ ও গৌরমতি জাতের আম।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে জেলায় ২৯ হাজার ৪৭৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৪৪৫ হেক্টর, রানীনগরে ১১০ হেক্টর, আত্রাইয়ে ১২০ হেক্টর, বদলগাছীতে ৫২৫ হেক্টর, মহাদেবপুরে ৬৮০ হেক্টর, পত্নীতলায় ৪ হাজার ৮৬৫ হেক্টর, ধামইরহাটে ৬৭৫ হেক্টর, মান্দায় ৪০০ হেক্টর, পোরশায় ১০ হাজার ৫২০ হেক্টর, সাপাহারে ১০ হাজার হেক্টর, নিয়ামতপুরে এক হাজার ১৩৫ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হয়েছে।
হেক্টরপ্রতি ফলন ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ৫০ টন। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৪৩৫ টন আম। যার বিক্রয় মূল্য ধরা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৮৪২ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান বলেন, আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে কোথাও নির্ধারিত সময়ের আগে গাছে আম পরিপক্ব হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়ে চাষিরা আম সংগ্রহ করতে পারবেন। আম পাকানো ও বাজারজাতে কেমিক্যালের ব্যবহার ঠেকাতে আম নামানোর সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।