চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) দুই শিক্ষার্থীকে হেনস্তার ঘটনায় গত ২৪ জুন চার শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ। নিয়ম অনুযায়ী বহিষ্কারাদেশ চলাকালীন তাঁরা কোনো একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারার কথা নয়। কিন্তু বহিষ্কারের ১০ দিন পরও বহিষ্কৃত দুই শিক্ষার্থী চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।
গতকাল বুধবার দর্শন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন বিভাগের বহিষ্কৃত দুই শিক্ষার্থী রাকিব হাসান ও ইমন আহমেদ।
এ বিষয়ে দর্শন বিভাগের সভাপতি মো. আবদুল মান্নান বলেন, প্রশাসনিক ভবন থেকে বহিষ্কার সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র তাঁদের কাছে আসেনি। বহিষ্কারাদেশ না আসা পর্যন্ত দুই ছাত্রের পরীক্ষা দেওয়া বৈধ। তাই তাঁদের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিয়েছেন।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে আলোচনা শুরু হয়। পরে বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের সই করা চিঠি ইস্যু করা হয়। চিঠিতে বহিষ্কারাদেশ চলাকালীন বহিষ্কৃতরা একাডেমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ও আবাসিক হলে অবস্থান করতে পারবেন না বলে উল্লেখ করা হয়। একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নিলে তা বাতিল হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম মনিরুল হাসান বলেন, ‘চার শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত যে সভায় হয়েছিল, তার লিখিত আদেশ তৈরি হতে একটু দেরি হয়েছে। আমরা আজই এ সংক্রান্ত আদেশ বিভাগে পৌঁছে দিয়েছি। আর বহিষ্কার করার দিন থেকে বহিষ্কারাদেশ কার্যকর হয়। তাঁরা যে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে সেটা বাতিল হয়ে যাবে।’
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগ ওঠে চার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনার ১০ মাস পর গত ২৫ জুলাই ওই চারজনকে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।