হোম > ছাপা সংস্করণ

শ্রম পরিস্থিতি পর্যালোচনা: প্রশংসা, উদ্বেগ দুই-ই পেল বাংলাদেশ

কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থায় (আইএলও) পর্যালোচনায় বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতির প্রশংসা করেছে সরকারের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকা ও যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের সঙ্গে বিরোধ আছে, এমন দেশগুলো। অন্যদিকে, শ্রমিকদের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও আইএলওসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আইএলও পরিচালনা পরিষদের ৩৫০তম অধিবেশনে গত মঙ্গলবার বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতি নিয়ে এমন মত দেখা গেছে।

গতকাল বুধবার বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের (বিইআই) প্রেসিডেন্ট হুমায়ুন কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি বিস্মিত হলাম, যারা আমাদের ভালো বলছে, তারা কেউ নিজেদের দেশে শ্রমমান ঠিকমত বজায় রাখছে না। প্রায় সব দেশেই শ্রম পরিস্থিতি নিয়ে নেতিবাচক আলোচনা আছে।’

আইএলওর অধিবেশনে ভারত, চীন, সৌদি আরব ও ইরানের প্রতিনিধিরা শ্রম পরিস্থিতি উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। আইএলও সনদের কয়েকটি ধারা অনুসরণ না করায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তুলে নেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছে এসব দেশ।

অধিবেশনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক শ্রম আইনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার আভাস দেন। তিনি বলেন, ত্রিপক্ষীয় আলোচনা শেষে দ্রুততার সঙ্গে, সম্ভব হলে জাতীয় সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে আইনের সংশোধনীর খসড়া উপস্থাপন করা হতে পারে। প্রস্তাবিত বিলে ইউনিয়নের প্রতি অন্যায্য আচরণের শাস্তি দ্বিগুণ করা, বেআইনিভাবে কারখানা বন্ধ করার শাস্তি তিন গুণ করা, শিশুশ্রমের শাস্তি চার গুণ করার বিধান রাখার কথা বলা আছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি সারাহ মরগান বাংলাদেশ শ্রম আইন ও ইপিজেড আইন দ্রুত সংস্কারের তাগিদ দেন। দুই বছর পার হলেও শ্রমিকনেতা শহীদুল হত্যার বিচার না হওয়া, অনেক শ্রমিকনেতা নির্যাতনের শিকার হওয়ায় উদ্বেগ জানায় যুক্তরাষ্ট্র।

শ্রমিকদের জন্য কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংগঠন সলিডারিটি সেন্টারের পরিচালক জেফরি ভগ্ট অধিবেশনে বলেন, বাংলাদেশে শ্রমিকেরা প্রতিনিয়ত নানা সহিংসতার মুখোমুখি হচ্ছেন। নারী শ্রমিকেরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি লিজিন ইলিইস বলেন, বাংলাদেশ সরকার যে সংস্কারের কথা বলছে তা আংশিক। জার্মানির রেনাটে ড্রাউস তাগিদ দেন বাংলাদেশে শ্রম পরিস্থিতির উন্নতি জোরদারে।

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির বলেন, পশ্চিমাবিরোধী দেশগুলোর প্রশংসায় তুষ্ট থাকা বাংলাদেশের জন্য দীর্ঘমেয়াদে সুবিধা বয়ে আনবে না। বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য প্রধানত যায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপসহ পশ্চিমা দেশগুলোয়। ভারত, চীন, সৌদি আরব ও ইরানে নয়। ২০২৬ সালের পর বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হলে বাংলাদেশকে কোনো সুরক্ষা ছাড়াই বাণিজ্যের খোলা ময়দানে লড়তে হবে। শ্রমমানের প্রকৃত উন্নতি ছাড়া কথার বোলচাল তখন কোনো কাজে আসবে না।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন