
ঢাকার কেরানীগঞ্জে একটি সড়কের ৫০০ মিটার অংশে প্রায় এক বছর ধরে জলাবদ্ধতা রয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে কয়েক গ্রামের দুই লক্ষাধিক বাসিন্দা। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন চুনকুটিয়া বউবাজার এলাকা থেকে চৌধুরীপাড়া পর্যন্ত সড়কটি খানাখন্দ ও ময়লা দুর্গন্ধযুক্ত ড্রেনের পানিতে সাধারণ মানুষের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সেখানে হাঁটাচলা করাও দুষ্কর।
সড়কের দুই পাশে বেশ কয়েকটি স্কুল, মাদ্রাসা ও কারখানা রয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে শিক্ষার্থীরা হেঁটে যেতে না পেরে ওই সড়ক রিকশায় পারাপার হয়। পাশাপাশি সড়কটিতে ড্রেনের ময়লা পানি থাকায় অজু অবস্থায় মসজিদে যেতে পারছেন না মুসল্লিরা। চৌধুরীপাড়া থেকে বউবাজার হয়ে চলাচলের একমাত্র সড়কটি ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে গিয়ে মিশেছে। পুরো সড়কটি বেহাল থাকলেও এ ৫০০ মিটার অংশের অবস্থা বেশি খারাপ।
সরেজমিন দেখা যায়, জনসাধারণকে ওই সড়ক ব্যবহারে বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। স্থানীয়রা দুপাশে সুরকি ফেলে চলাচলের জন্য অস্থায়ী ব্যবস্থা তৈরি করলেও অধিক মানুষের চলাচলের কারণে তা-ও নষ্ট হয়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আতিকুর রহমান মানিক বলেন, হেঁটে যাওয়ার সড়কটি রিকশা দিয়ে পারাপার হতে প্রতিদিন ৩০-৪০ টাকা অতিরিক্ত খরচ করতে হচ্ছে। বৃষ্টি ছাড়াই সড়কটিতে ড্রেনের নোংরা পানি জমে থাকে। সড়কটি দিয়ে যাওয়ার সময় রিকশার চাকা খানাখন্দে পড়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। এক বছর ধরে এমন বেহাল থাকলেও জনপ্রতিনিধিরা কেউই সড়কটির প্রতি সুদৃষ্টি দেননি।
একই এলাকার বাসিন্দা মো. আরিফুর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বেহাল সড়কটি। দেখার যেন কেউ নেই। নোংরা আর দুর্গন্ধযুক্ত পানিতে রাস্তা সব সময় ডুবে থাকে। কেউ কেউ মাঝেমধ্যে ইট সুরকি ফেলে আবার কয়দিন পরেই একই অবস্থা হয়ে যায়। আমরা এই সড়কের স্থায়ী সমাধান চাই।’
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মোগল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের ইউপি চেয়ারম্যানের নজরে এনেছি। তিনি দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।’
এ প্রসঙ্গে শুভাঢ্যা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইতিমধ্যে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে কেরানীগঞ্জে পাঁচটি স্থানীয় সড়ক পুনর্নির্মাণ প্রকল্প সরকার হাতে নেওয়া হয়েছে। পাঁচটি প্রকল্পের মধ্যে চৌধুরীপাড়া বউবাজার সড়কটিও রয়েছে। সড়কটি পরিদর্শন করেছি। প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার আগে প্রাথমিকভাবে সড়কটি কিছুটা সংস্কার করা হবে।’