কাপাসিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের একটি মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলাসহ বিভিন্ন প্রকার অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
গত দেড় বছর ধরে সুপারের গাফিলতির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হতে চলেছে বলে অভিযোগ করেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সহকারী শিক্ষক মো. কামরুজ্জামান।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আফসার উদ্দিন আহমদ কারিগরি মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. আব্দুর রহিম ২০২০ সালের ১৭ মার্চ তারিখ থেকে কোনো দিন মাদ্রাসায় উপস্থিত হননি।
প্রতিষ্ঠানের দাপ্তরিক কোনো কাজের খোঁজ-খবর নেননি। এমনকি কোনো জাতীয় দিবসেও তাঁকে মাদ্রাসায় পাওয়া যায় না। অন্যান্য সহকর্মীরা প্রতিষ্ঠান থেকে ফোন দিলে ফোন বন্ধ রাখেন। ফোনে না পেয়ে বাড়িতে গিয়ে তাকে খুঁজে পাননি সহকর্মীরা। ২০১৯ সালে কমিটি গঠন ও স্বীকৃতি নবায়নের জন্য মাদ্রাসার সব শিক্ষক মিলে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা তুলে দেন আব্দুর রহিমের হাতে। কিন্তু তিনি এখনো সেই কাজ করেননি।
এর ফলে শিক্ষকদের টাইম স্কেল ও উচ্চতর বেতন স্কেলের আবেদন থেমে রয়েছে। এমনকি মাদ্রাসাটিতে শূন্যপদ থাকলেও শিক্ষক ও কর্মচারী নেওয়ার কোনো ব্যবস্থা করা হচ্ছে না।
অভিযোগের বিষয়ে সহকারী শিক্ষক মো. কামরুজ্জামান জানান, ‘প্রতিষ্ঠানটি যাতে আবার সুন্দরভাবে চলতে পারে এ জন্য আমরা নিরুপায় হয়ে সকলে মিলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছি।’
এ বিষয়ে মাদ্রাসার সুপার মো. আ. রহিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনেক আগেই পরিচালনা কমিটি মাদ্রাসা পরিচালনার দায়িত্বভার আমার কাছ থেকে নিয়ে গেছে এবং করোনাকালীন প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ থাকায় আমি মাঝে মাঝে মাদ্রাসাতে এসেছি। বিগত সময়ে সবাইকে নিয়ে মাদ্রাসাটি সঠিকভাবে পরিচালনা করেছি কিন্তু স্থানীয় কিছু লোকেরা মিলে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।’
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাদ্রাসাটি পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। গত ২০ সেপ্টেম্বর ৬টি কারণ উল্লেখ করে সুপার মো. আ. রহিমকে ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাঁর জবাব পেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’