পীরগঞ্জে চুরি কিংবা হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধারে ভরসা হয়ে উঠেছেন থানা-পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আলমগীর হোসেন। তিনি থানার নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রায় দুই বছরে পাঁচ শতাধিক ফোনসেট উদ্ধার করেছেন।
থানা সূত্রে জানা গেছে, সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরেস চন্দ্র দুই বছর আগে এএসআই আলমগীরকে চোরাই ও হারিয়ে যাওয়া ফোন উদ্ধারের দায়িত্ব দেন। এরপর থেকে তিনি উদ্ধার অভিযান চালিয়ে আসছেন।
পীরগঞ্জে অনেকের ফোন হারিয়ে গেলে বা চুরি হলে তাঁরা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। আবার পীরগঞ্জের অনেকের ফোন দেশের বিভিন্ন স্থানে হারিয়ে গেলে তাঁরা সংশ্লিষ্ট থানার পাশাপাশি পীরগঞ্জেও জিডি করেন। জিডির সূত্র ধরে এএসআই আলমগীর নানা স্থানে অভিযান চালিয়ে সংশ্লিষ্ট থানার কর্মকর্তাদের নিয়ে ফোন উদ্ধার করেন। পীরগঞ্জ থানার ফেসবুক পেজে প্রতিদিনই খোয়া যাওয়া ফোন উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়।
পীরগঞ্জে মোবাইল ফোন ফিরে পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শফিউর রহমান মন্ডল মিলন, কুমেদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, কিশোরগাড়ীর সাংবাদিক পারভীন আক্তার, পীরগঞ্জ পৌরসভার সর্দারপাড়ার বাবলু সর্দার, সাবেক সেনাসদস্য আকমল হোসেন, ব্যবসায়ী মানিক চন্দ্র প্রমুখ। তাঁরা জানান, দামি ফোনগুলো ফিরে পেয়ে সবাই খুশি।
এএসআই আলমগীর জানান, উপজেলার মাদারগঞ্জ এবং পাশের মিঠাপুকুরের শঠিবাড়ী হাটে চোরাই ফোন বেচাকেনা হয়ে থাকে। এ পর্যন্ত যত ফোন উদ্ধার করেছেন তার অধিকাংশই এই দুই হাটে হাতবদল হয়েছিল।
পীরগঞ্জ থানার ওসি মো. আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘চুরি যাওয়া বা হারানো মোবাইল ফোনের নম্বর কিংবা আইএমইআই নম্বর দিয়ে জিডি করলে আমরা ফোন উদ্ধার করে দেই। তবে এ জন্য অবশ্যই ফোনটি চালু থাকতে হবে।’