Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি

তারাগঞ্জ ও গঙ্গাচড়া প্রতিনিধি

ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি

বদরগঞ্জ ও গঙ্গাচড়ায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে গতকাল রোববার ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। তাঁরা সকাল থেকেই কেন্দ্রে আসা শুরু করেন। বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বদরগঞ্জে সকাল ১০টার দিকে রাধানগর মণ্ডলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় নারীদের দীর্ঘ লাইন। সেখানে কথা হয় রেজিয়া বেগমের সঙ্গে। তিনি নাতি ও তাঁর বউয়ের সহযোগিতায় ভোট দিতে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার বয়স ১০০ পার হয়েছে। চোখে দেখি না তবে কানে শুনি। জানি না আর কয় দিন বাঁচব। তাই নাতিদের সঙ্গে ভোট দিতে এসেছি।’

কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আবদুল মজিদ জানান, সকাল ৮টার আগেই ভোটাররা কেন্দ্রে উপস্থিত হতে থাকেন। সকাল ১০টা পর্যন্ত ৪০ ভাগ ভোট পড়ে। এখানে কোনো প্রকার ঝামেলা হয়নি।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কালুপাড়া ইউনিয়নের বৈরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। উৎসবমুখর পরিবেশে সেখানে ভোট চলে। এই ইউনিয়নে একই পদে তিন ভাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয় কেন্দ্রগুলোকে। সে লক্ষ্যে সহিংসতা রোধে সেখানে অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবি, পুলিশের উপস্থিতি ছিল।

কথা হয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এ কেন্দ্রে তিন ভাই একই পদে লড়ছেন। মানুষ যাতে নিরাপদে ভোট দিতে পারে, কোনো ধরনের সহিংসতা না ঘটে সে জন্য এখানে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।’

কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বাদশা আলমগীর বলেন, ‘মানুষ এখানে নির্দ্বিধায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিচ্ছেন। কোনো রকম বিশৃঙ্খলা নেই। ইতিমধ্যে ৬০ ভাগ ভোট পোল হয়েছে। নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশি।’

বেলা ২টার দিকে লোহানীপাড়া ইউনিয়নের কাঁচাবাড়ি উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে নারী ও পুরুষ ভোটারের উপস্থিতি ছিল প্রায় সমান। সারিবদ্ধ হয়ে মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিচ্ছিল।

কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শাইদুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে ভোটারদের উপস্থিতি ব্যাপক। সকাল থেকে কোনো সারি খালি নেই। একের পর এক লোকজন আসতেছে। এখন পর্যন্ত এ কেন্দ্রে ৬৫ ভাগ ভোট কাস্ট হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ৮৫ ভাগ ভোট কাস্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

কাঁচাবাড়ি বানিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আমরুলবাড়ি-২, আফতাবগঞ্জ, কালা আমের ডাঙ্গা, মানসিংহপুর, রাধানগর পাঠান পাড়াসহ অন্তত ৩০টি ভোটকেন্দ্রে ঘুরে দেখা গেছে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।

অন্যদিকে গঙ্গাচড়ায় তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পেরে ভোটাররা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কোলকোন্দের তরুণ ভোটার রাবিউল ইসলাম লিমন বলেন, ‘আমি এবার নতুন ভোটার। প্রথমবার ভোট দিতে পেরে ভালো লাগছে।’ একেই ইউনিয়নের নুর ইসলাম বলেন, ‘আমি সৎ-যোগ্য ব্যক্তিকে ভোট দিয়েছি।’

তবে ইউনিয়নের জাতীয় পার্টির লাঙ্গলের প্রার্থী আব্দুর রউফ দাবি করেছেন, আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী সোহরাব আলী রাজু তাঁর বাড়ির পাশের ভোটকেন্দ্রে জোর করে ভোট নিয়েছেন।

কোলকোন্দের তাকিয়া শরিফ হাফিজিয়া আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, ‘আমাদের ভোটকেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ হয়েছে। কেন্দ্রে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ভোটাররা কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পেরে খুবই খুশি।’

গঙ্গাচড়া ইউনিয়নের প্রবীণ ভোটার আবদুল আলিম (৭৯) জানান, এবারের মতো শান্তিপূর্ণভাবে আগে কখনো ভোট দিতে পারেননি।

এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এবারের নির্বাচনে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ