হাওরে পরিত্যক্ত এক ফসলি জমিতে বর্ষাকালে টমেটো চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার সদর ইউপি সদস্য রেখন মিয়া। তিতবেগুনে গ্রাফটিং চারায় মালচিং পদ্ধতিতে ৩৫ শতাংশ জমিতে তিনি শীতকালীন সবজি টমেটো চাষ করে আয় করেন প্রায় দুই লাখ টাকা। তাঁর এই সাফল্যে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন তরুণেরা। সহযোগিতার আশ্বাস উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের।
কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল মতিন আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘একজন জনপ্রতিনিধির কৃষি উদ্যোগ তরুণদের চাষাবাদে উৎসাহিত করবে। আমরা তাঁকে পরামর্শ দিয়ে আসছি। সামনে সহযোগিতা করা হবে।’
জানা গেছে, অষ্টগ্রাম উপজেলা সদর ইউনিয়নের সেনপাড়া গ্রাম। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রেখন মিয়া ইউটিউব দেখে সিদ্ধান্ত নেন, মালচিং ও গ্রাফটিং পদ্ধতিতে বর্ষাকালে টমেটো চাষ করবেন। পরে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ থেকে গ্রাফটিং করা বারি-৮ ও রাজা জাতের চারা সংগ্রহ করেন। জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে বাড়ির সামনে অন্যের পরিত্যক্ত ৩৫ শতাংশ জমিতে ৩ হাজার বারি-৮ জাতের চারা রোপণ করেন। তিতবেগুনের সঙ্গে গ্রাফটিং করা টমেটো চারা মালচিং (পলিথিনে গাছের শিকড় ঢেকে রাখা) পদ্ধতিতে পরিচর্যা করেন। সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিকে টমেটো বেচা শুরু করেন। গত বুধবার পর্যন্ত ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার টমেটো বিক্রি করেন। আরও দেড় লাখ টাকার টমেটো গাছে রয়েছে।
ইউপি সদস্য মো. রেখন মিয়া বলেন, ‘বাবার অনুপ্রেরণায় কৃষিতে মনোযোগ দিয়ে সফলতা পেয়েছি। এই বর্ষায় টমেটো চাষ করায় অনেকে বলেছে, পাগলামি শুরু করেছি। এক একর জমিতে ৫ লাখ খরচ হয়েছে। আশা করি, খরচ মিটিয়ে ৬-৭ লাখ টাকা লাভ হবে। আমার মতে স্বাবলম্বী হতে কৃষির বিকল্প নেই।’
অষ্টগ্রাম সদর ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ ফাইয়াজ হাসান বাবু বলেন, ‘সমৃদ্ধ দেশ গড়তে কৃষি সর্বোত্তম কর্মসংস্থান। আমার সহকর্মী জনপ্রতিনিধি রেখনের এই সাফল্য শুধু আর্থিক নয়, বেকারত্ব হ্রাসে এবং কৃষিবান্ধব সামাজিক প্রচারণামূলক।’