হোম > ছাপা সংস্করণ

শখের ক্যাকটাস থেকে সফল নার্সারি ব্যবসায়ী

শামীম রেজা, রাজবাড়ী

শখের বশে ২০১৩ সালে ঢাকার বাণিজ্য মেলা থেকে চারটি ক্যাকটাস কিনে বাসার ছাদে রোপণ করেন রাজবাড়ীর জালাল শিকদার। এক বছর পর সেখান থেকে ৩৫ হাজার টাকার চারা বিক্রি করেন। সেখান থেকেই তাঁর ধারণা জন্মে; নার্সারি ব্যবসায় সফলতা লাভ করা যাবে। পরে চাকরি ছেড়ে নার্সারি ব্যবসায় নামেন শহরের ভবানীপুরের এই বাসিন্দা। বর্তমানে তাঁর বাগানে ফলদ, বনজ, ঔষধিসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাঁচ লক্ষাধিক গাছের চারা রয়েছে।

সরেজমিনে রাজবাড়ীর রোজ গার্ডেন নার্সারিতে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকজন শ্রমিক নার্সারিতে গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত রয়েছেন। কেউ গাছের আগাছা দমন করছেন। কেউ বা গাছে কীটনাশক প্রয়োগ করছেন, কেউ গাছে পানি দিচ্ছেন। ফুলের গাছগুলোতে ফুটে আছে বিভিন্ন রঙের ফুল। এ ছাড়াও রয়েছে ফলদ, বনজ, ঔষধিসহ বিভিন্ন প্রজাতির হাজার হাজার গাছ। অনেক ক্রেতা এসে পছন্দের গাছের চারা কিনে নিচ্ছেন। আবার অনেকই ঘুরতে এসেছেন।

জানা গেছে, জালাল শিকদার ঢাকায় একটি বেসরকারি সংস্থায় (এনজিও) চাকরি করতেন। ছোট থেকেই গাছের প্রতি তাঁর ভালোবাসা। শখের বসে ২০১৩ সালে ঢাকার বাণিজ্য মেলা থেকে চারটি ক্যাকটাস কিনে বাসার ছাদে রোপণ করেন। এক বছর পর সেখান থেকে ৩৫ হাজার টাকার চারা বিক্রি করেন। পরে ২০১৬ সালের শেষের দিকে সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের গঙ্গাপ্রসাদপুর গ্রামে চার বিঘা জমিতে মালটার বাগান করেন।

প্রায় দুই বছর পর ২০১৮ সালে সফলতার মুখ দেখেন। লাভজনক হওয়ায় ২০১৯ সালের শেষের দিকে এনজিওর চাকরি ছেড়ে পেশা হিসেবে বেছে নেন নার্সারি ব্যবসা। বর্তমানে তাঁর চারটি বাগান রয়েছে। এর মধ্যে বড় বাগান রোজ গার্ডেন। সাত একর জায়গার ওপর করা হয়েছে বাগানটি। চারটি বাগানে দেশি ও বিদেশি প্রায় সাড়ে তিন হাজার ফলদ, বনজ, ঔষধিসহ বিভিন্ন প্রজাতির ৫ থেকে ৬ লাখ চারা রয়েছে।

এ ছাড়া নার্সারিতে রয়েছে প্রায় ৩০০ প্রজাতির ফুলের চারা। নার্সারি থেকে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার চারা বিক্রি হয়। মাসে সব খরচ বাদ দিয়ে জালাল শিকদারের আয় এখন আড়াই লক্ষাধিক টাকা।

জালাল শিকদার বলেন, নার্সারি ব্যবসায় তিনি সফল। তাঁর নার্সারির চারা দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। একই সঙ্গে তিনি গিয়ে ছাদবাগান করে দেন। তাঁর সফলতা দেখে অনেক বাগান করছেন। এখন মাসে তাঁর আয় প্রায় আড়াই লাখ টাকা। ২৫-২৬ জন শ্রমিকের কর্মস্থান হয়েছে তাঁর বাগানে। প্রথমে কষ্ট হলেও কৃষি অফিসের সব ধরনের সহযোগিতা পেয়েছেন। ভবিষ্যতে নার্সারির পরিধি আরও বাড়াবেন। এখন তাঁর সংগ্রহে সব ধরনের ফুল ও ফলের চারা রয়েছে। কাউকে আর আগের মতো ফিরে যেতে হয় না।

রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. বাহাউদ্দিন সেখ বলেন, জেলায় ছোট-বড় ৪০ টির বেশি নার্সারি আছে। তরুণ উদ্যোক্তা জালাল শিকদার অল্প সময়ে নার্সারি করে সফল হয়েছেন। তাঁর নার্সারিতে অনেকের কর্মসংস্থান হয়েছে। তাঁর নার্সারিতে ফুল, ফল, ঔষধি গাছের চারা পাওয়া যায়। নার্সারিতে উদ্বুদ্ধ করেন। নার্সারি মালিকদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তিনিসহ মাঠপর্যায়ের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা তাঁদের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। জালালের দেখাদেখি এখন অনেকে নার্সারি ও বাগান করতে আগ্রহী হচ্ছেন।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন