কক্সবাজারের টেকনাফ সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মো. শামসুল আলম হত্যা মামলার বিচারকাজ আট বছরেও শেষ হয়নি। সাক্ষীরা আদালতে হাজির না হওয়ায় বিচারকাজ বিলম্ব হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি ফরিদুল আলম।
এদিকে বাদীপক্ষ অভিযোগ করেছে, মামলার সব আসামি জামিনে রয়েছেন। তাঁরা নিহতের স্ত্রী দিলসাদ বেগম ও সাক্ষীদের নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। এ জন্য তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৩১ অক্টোবর বিকেলে নিজ বাড়ির সামনে একটি সালিস বৈঠকে একদল অস্ত্রধারী মো. শামসুল আলমকে পিটিয়ে আহত করেন। তাঁকে গুরুতর অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। এ ঘটনার দুই দিন পর ২ নভেম্বর নিহতের স্ত্রী দিলসাদ বেগম বাদী হয়ে ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে টেকনাফ থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্ত শেষে ২০১৫ সালে তদন্ত কর্মকর্তা ৩২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। শিক্ষক শামসুল আলম উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের পশ্চিম মহেশখালিয়াপাড়ার বাসিন্দা। এলাকার বাসিন্দা নুপা আলম বলেন, একদল সন্ত্রাসী এলাকার রাস্তার পাশের গাছ লুট করেছিল। এ বিষয়ে স্থানীয়ভাবে সালিস বৈঠক বসায় শিক্ষক শামসুল আলমের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে হামলা চালানো হয়।
মামলার বাদী দিলসাদ বলেন, ঘটনার আট বছরেও বিচারকাজ শেষ না হওয়ায় আসামিরা আমাকে এবং সাক্ষীদের নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন এবং ভয় দেখাচ্ছেন। এতে আমি এবং মামলার সাক্ষীরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি ফরিদুল আলম বলেন, অধ্যাপক শামসুল আলম হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
ফরিদুল আলম বলেন, অভিযোগ গঠনের পর কয়েকবার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করা হলেও আদালতে সাক্ষী হাজির হননি। ফলে বিচারকাজ এখন সাক্ষ্যগ্রহণের পর্যায়েই রয়েছে। সাক্ষীদের কারণে বিচারকাজ বিলম্ব হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বাদী ও সাক্ষীরা তৎপর হলে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে।