গ্রুপ পর্বের শেষ দিনের সমীকরণ যে এমন হবে, আগে থেকে কল্পনা করা কঠিনই ছিল। এমন দিনে ফিরে আসছে অতীতও। দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপ খেলতে এসে খেলতে চমকই দেখিয়েছিল ঘানা। ২০১০ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত যাওয়া দলটির সমর্থকদের জিজ্ঞেস করলেই হু হু করে উঠবে তাঁদের মন। ঘানার ফুটবলভক্তদের হৃদয় ভেঙেছিল যে উরুগুয়ের লুইস সুয়ারেজ।
স্মৃতির পাতা উল্টে চলে যেতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকায়। জোহানেসবার্গের সকার সিটি স্টেডিয়ামে কোয়ার্টার ফাইনালে ঘানার নিশ্চিত হতে যাওয়া গোল হাত দিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সুয়ারেজ। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন আসামোয়া জিয়ান। ইচ্ছাকৃত হ্যান্ডবল থেকে লাল কার্ড দেখা সুয়ারেজ তখন ড্রেসিংরুমে যাওয়ার পথে উল্লাসে ফেটে পড়েছিলেন। তাঁর সেই দুঃসহ হ্যান্ডবলের স্মৃতি এখনো তাড়িয়ে বেড়ায় ঘানাকে।
এক যুগ পর বিশ্বকাপের মঞ্চেই ঘানা সুযোগ পেয়েছে প্রতিশোধ নেওয়ার। ‘এইচ’ গ্রুপে ১ ড্র ও ১ হারে গ্রুপের পয়েন্ট তালিকার তলানিতে উরুগুয়ে। তুলনামূলক সুবিধাজনক অবস্থায় থাকা ঘানার দলে আছেন ২০১০ বিশ্বকাপ দলের সদস্য আন্দ্রে আইয়ু। প্রতিশোধের কথা উঠলেও অধিনায়ক হিসেবেই কি না, প্রসঙ্গটা এড়িয়ে গেলেন তিনি। তবে জয়ের প্রত্যয় আইয়ুর কণ্ঠে, ‘প্রতিশোধ কি না সেটার চেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে আমরা একই লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নামব।’
উরুগুয়ের শেষ ষোলো নিশ্চিত করার ম্যাচে বাঁচতে হলে জিততেই হবে নইলে বাদ পড়বে গ্রুপ পর্ব থেকেই।